প্রতি বছরই এভারেস্ট জয় করে পাখিরা

প্রতি বছরই এভারেস্ট জয় করে পাখিরা

নিউজ ডেস্ক: মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় সবসময়ই চরম প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করে। সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে ৫ মাইল উঁচু। এর উচ্চতা এখনও বাড়ছে।

নেপালিদের লোকগাঁথা অনুসারে, কোনো পাখিই এটিকে অতিক্রম করতে পারে না। তবে প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার ডেমোসেল ক্রেন হিমালয় অতিক্রম করতে রওনা হয়। মঙ্গোলিয়ার বজ্রকঠিন ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে এরা ভারতে শীতকাল অতিবাহিত করে। ভারতে যেতে তাদের হিমালয়ের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গগুলো পার হতে হয়। সূর্যের তীর্যকরশ্মি পাহাড়ি ঢালগুলোকে উত্তপ্ত করে তোলে। ফলে দুপুরের শুরুতেই তৈরি হয় বাতাসের মারাত্মক ঘূর্ণি। ক্রেন পাখিরা বাতাসের ভয়ঙ্কর আলোরণের মুখোমুখি হয়। তখন এদের পিছু হটতে হয় অথবা নিশ্চিত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয়। বিকালে সূর্যের উত্তাপ কমে এলে বাতাসের ঘূর্ণিও দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপর নতুন দিনের জন্য ক্রেনরা অপেক্ষা করে। নতুন দিন মানেই নতুন সুযোগের হাতছানি। তরুণরা অভিজ্ঞদের নেতৃত্বে এ ভয়ঙ্কর অভিযাত্রায় আবারও এগিয়ে চলে। সকাল হতেই বাতাস উত্তপ্ত হয়ে উপরের দিকে উঠতে শুরু করে। ক্রেনরা উপরে উঠতে এ ঊর্ধ্বগামী বাতাসকে ব্যবহার করে।

এ সময় যদি আবারও বাতাসের ঘূর্ণি শুরু হয় তখন ক্রেনরা বিপদে পড়ে যায়। তখন পর্বত অতিক্রম করা হয়ে উঠতে পারে অসম্ভব। যদি এমনটি হয় তবে তারা আবার ফিরে আসে ও যথারীতি পরবর্তী দিনের জন্য অপেক্ষা করে। চূড়ান্ত সময় পাখার প্রতিটি স্পন্দন যেন হিম শীতল বাতাসের বিরুদ্ধে নিদারুণ লড়াই। অবশেষে ক্রেনরা ঊর্ধ্বগামী বাতাসের সঙ্গে এভারেস্ট পার হলে সফল হয়। এভাবেই ক্রেনরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা জয় করে। পর্বতের এ পাশেই রয়েছে স্বর্গীয় নাতিশীতোষ্ণ জলাভূমি। সময় এবং পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে কঠোর পরিশ্রমও বিফলে যেতে বাধ্য। সঠিক সময়ের কঠোর পরিশ্রম পৌঁছে যায় সফলতার স্বর্ণ শিখরে।