পবিত্র মি’রাজ শরীফ সম্পর্কিত বিশুদ্ধ আক্বীদা

আল্লামা মুহম্মদ নাজমুল হুদা ফরাজী: আনুষ্ঠানিকভাবে মুবারক নুবুওওয়াত প্রকাশের একাদশতম বছরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জাহিরীভাবে (সকলের অবগতিতে) মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বরকতময় দীদার মুবারক হাদিয়া করেন। হাক্বীক্বীভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুরু থেকেই মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারক-এ মশগুল ছিলেন, বর্তমানে আছেন এবং অনন্তকাল ধরে থাকবেন। এটাই বিশুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য অভিমত। আর প্রসিদ্ধতম অভিমত হচ্ছে, পবিত্র ২৭শে রজবুল হারাম শরীফ তথা পবিত্র ২৬শে রজব দিবাগত রাত্রে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) পবিত্র মি’রাজ শরীফ সংঘটিত হয়েছিল।

পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক রাতে প্রথমে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ পর্যন্ত গমন করেন। অতঃপর সেখান থেকে আরশে আযীমে আনুষ্ঠানিকভাবে বরকতময় দীদার মুবারক লাভের জন্য ভ্রমণ করেছেন। যা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা প্রমাণিত। তাই পবিত্র মি’রাজ শরীফ অস্বীকারকারীরা কাফির। এছাড়া আসমানসমূহের ভ্রমণ ও নৈকট্যের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছা, তাও পবিত্র কুরআন শরীফ ও নির্ভরযোগ্য বিশুদ্ধ এবং প্রসিদ্ধ অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা প্রমাণিত; যে পবিত্র হাদীছ শরীফগুলো মুতাওয়াতির হিসেবে বর্ণিত। পবিত্র মি’রাজ শরীফ জাগ্রত অবস্থায় জিসমানীভাবে সংঘটিত হয়েছে। এটাই সম্মানিত আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত উনাদের ইমাম, মুজতাহিদ, মু’তাক্বিদ ও মুকাল্লিদগণ উনাদের আক্বীদা বা দৃঢ় বিশ্বাস। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবীগণ উনারাও এতে দৃঢ় বিশ্বাসী। সুস্পষ্ট ও সন্দেহাতীত অর্থ সম্বলিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের থেকে এটাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।

হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার বুরাক মুবারক নিয়ে হাযির হওয়া, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চূড়ান্ত তা’যীম, তাকরীম, সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শনপূর্বক আরোহণ করে নিয়ে যাওয়া, ‘বাইতুল মুকাদ্দাস’ শরীফ যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইমামতি করা, অতঃপর সেখান থেকে আসমানসমূহের ভ্রমণের প্রতি মনোনিবেশ করা, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার প্রত্যেক আসমানের দরজা খোলানো, প্রত্যেক আসমানের উপর সেখানে অবস্থানরত উচ্চ মর্যাদাশীল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দীদার মুবারক দেয়া, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা এবং উনার শুভাগমনের জন্য মুবারকবাদ জানানো, এক আসমান থেকে অপর আসমানের দিকে ভ্রমণ করা, সেখানকার অত্যাশ্চর্যজনক নিদর্শনাদি মুবারক উনাদেরকে ছোহবত দেয়া, জাহিরীভাবে সমস্ত নৈকট্য প্রাপ্তদের ওই চূড়ান্ত গন্তব্য স্থান ছিদরাতুল মুনতাহায় পৌঁছা, যেখান থেকে সম্মুখে অগ্রসর হওয়া কোনো নৈকট্যধন্য হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও অবকাশ নেই, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার সেখানেই আপন অপারগতার জন্য ক্ষমা চেয়ে থেকে যাওয়া, অতঃপর বিশেষ নৈকট্যের স্থানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উচ্চতম নৈকট্যে তাশরীফ মুবারক নেয়ার আনুষ্ঠানিকতা জাহির হওয়া, যেখানে কোনো সৃষ্টির কল্পনা, ধারণা ও চিন্তা ভাবনা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না, সেখানে করুণা ও দয়ার অবতরণ স্থল হওয়া এবং মহান আল্লাহ পাক উনার পুরস্কারাদি ও জাহিরীভাবে বিশেষ গুণাবলী লাভ করে ধন্য হওয়া এবং ছুরতান আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব এবং তদাপেক্ষা উত্তম জগত পরিভ্রমণ করা, জান্নাত ও জাহান্নাম পরিভ্রমণ করা, মহান আল্লাহ পাক উনার হাক্বীক্বীভাবে দীদার লাভ, অতঃপর আপন স্থানে পুনরায় তাশরীফ নিয়ে আসা, উক্ত ঘটনার খবর দেয়া, কাফিরদের এই ঘটনার উপর হৈ চৈ করা, পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ উনার ইমারতের অবস্থা ও সিরিয়া গমনকারী কাফিলাসমূহের অবস্থাদি সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞাসিত হওয়ার পর বর্ণনা করা, কাফিলাগুলোর যে অবস্থা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বর্ণনা করেছেন ফিরে আসার পর সেগুলোর সত্যতা প্রমাণিত হওয়া ছহীহ পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত এবং অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উক্ত সব বিষয়ের বিবরণ ও সেগুলোর বিস্তারিত বর্ণনায় পরিপূর্ণ।

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র সূরা বনী ইসরাইল শরীফ উনার ১ম পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “পূত-পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা উনি, যিনি স্বীয় বান্দা তথা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে রাত্রির একাংশে পবিত্র মসজিদুল হারাম তথা পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ থেকে পবিত্র মসজিদুল আক্বছা বা পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন যার চারপাশে আমি পর্যাপ্ত রহমত, বরকত, সাকীনা দান করেছি; যাতে আমি উনাকে আমার কুদরত মুবারক উনার নিদর্শন মুবারক (জাহিরীভাবে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে) দেখিয়ে দেই। বিশেষ করে আমার সাক্ষাৎ দিয়ে দেয়ার জন্য। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি পরম শ্রবণকারী ও সর্বদ্রষ্টা।”

উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ‘আসরা’ শব্দটি ‘ইসরাউ’ ধাতু থেকে উদ্ভূত। এর আভিধানিক অর্থ রাত্রে ভ্রমণ করা। এরপর ‘লাইলান’ শব্দটি স্পষ্টত এ অর্থ ফুটিয়ে তুলেছে। শব্দটি ‘নাকিরাহ’ ব্যবহার করে এ দিকেও ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, সমগ্র ঘটনা সম্পূর্ণ রাত্রিতে নয়, বরং রাত্রির একটা সামান্য অংশ ব্যয়িত হয়েছে। পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লিখিত পবিত্র মসজিদে হারাম থেকে পবিত্র মসজিদে আক্বছা পর্যন্ত সফরকে “ইসরা” বলা হয় এবং সেখান থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারক লাভ করা পর্যন্ত সফরকে “মি’রাজ” শরীফ বলা হয়। ইসরা ও মি’রাজ শরীফ উভয়টাই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার অকাট্য পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। এছাড়াও পবিত্র মি’রাজ শরীফ সম্মানিত পবিত্র সূরা নজম শরীফে উল্লিখিত রয়েছে এবং অনেক মুতাওয়াতির পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারাও প্রমাণিত। সম্মান, মর্যাদা, ফাযায়িল, ফযীলত উনার স্তরে ‘বি-আব্দিহি’ শব্দটি একটি বিশেষ প্রেমময়তার, মুহব্বতের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে। কেননা মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি স্বয়ং কাউকে “আমার বান্দা” বললে এর চাইতে বড় সম্মান কারো জন্য আর হতে পারে না।

ইসরা ও মি’রাজ শরীফ উনার সমগ্র সফর যে শুধু আত্মিক ছিল না, বরং জিসমানী অর্থাৎ দৈহিক ছিল একথা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার বক্তব্য এবং অসংখ্য মুতাওয়াতির পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। আলোচ্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার প্রথম ‘সুবহানা’ শব্দের মধ্যে এদিকেই ইঙ্গিত রয়েছে। কেননা এ শব্দটি আশ্চর্যজনক ও মহান বিষয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। পবিত্র মি’রাজ শরীফ যদি শুধু আত্মিক অর্থাৎ স্বপ্ন জগতে সংঘটিত হতো, তবে তাতে আশ্চর্যের বিষয় কি আছে? স্বপ্নে তো প্রত্যেক মুসলমান, বরং প্রত্যেক মানুষ দেখতে পারে যে, সে আকাশে উঠেছে, অবিশ্বাস্য অনেক কাজ করেছে। ‘সুবহানা’ শব্দ দ্বারা এদিকেই দ্বিতীয় ইঙ্গিত করা হয়েছে। কারণ শুধু আত্মাকে ‘আব্দুন’ বলে না; বরং আত্মা ও দেহ উভয়ের সমষ্টিকে ‘আব্দুন’ বলা হয়।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মি’রাজ শরীফ উনার ঘটনা হযরত উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার নিকট বর্ণনা করলেন, তখন তিনি বলেছিলেন: আপনি দয়া করে কারো কাছে একথা প্রকাশ করবেন না; প্রকাশ করলে কাফিররা আপনার প্রতি আরো বেশি মিথ্যারোপ করবে। ব্যাপারটি যদি নিছক স্বপ্নই হতো, তবে মিথ্যারোপ করার কি কারণ ছিল? এর দ্বারা স্পষ্টভাবেই পরিস্ফুটিত হয় পবিত্র মি’রাজ শরীফ জিসমানীভাবেই সংঘটিত হয়েছিল। এটাই সম্মানিত আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনাদের বিশুদ্ধ আক্বীদা।

পবিত্র মি’রাজ শরীফ সম্পর্কিত পবিত্র সূরা বনী ইসরাইল শরীফ উনার প্রথম পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ‘লাইলান’ শব্দ দ্বারা রাতের সময়কে বুঝানো হয়েছে। যার সুস্পষ্টতা আমরা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা অনুধাবন করতে পারি। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মি’রাজ শরীফ থেকে ফিরে এসে শায়িত বিছানা মুবারকের গরম অনুভব করেছিলেন। পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এ যাওয়ার পূর্বেকার ওযু করা পানি মুবারক মি’রাজ শরীফ থেকে এসে গড়িয়ে যেতে দেখেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

অর্থাৎ এ সময়ে কুল-কায়িনাতের সমস্ত মাখলূক্বাতকে দীদার দিয়ে ধন্য করেছিলেন। যার সময় ছিল দীর্ঘ ২৭ বছর। সুবহানাল্লাহ! বদ-আক্বীদা, বদ-মাযহাবের নাদান, মূর্খ, অথর্ব লোকেরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মু’জিযা শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত অতি অল্প সময়ে ২৭ বছর অতিবাহিত করাকে অস্বীকার করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! অথচ তাদের এই অস্বীকার করা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও পবিত্র ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে মূর্খ ও কাফির হওয়ার সাক্ষর বহন করে।

কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার রঙে রঞ্জিত হও।”
আর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার ছিফত, গুণ ছামাদ বা বেনিয়াজ, অমুখাপেক্ষী লক্বব মুবারক ধারণ করে পৃথিবীর সময় থেকে বেনিয়াজ ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তারই বাস্তবতা বিশ্ববাসীকে পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক উনার যেমন স্থান, কাল, পাত্রের প্রয়োজন হয় না, তেমনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও স্থান, কাল ও পাত্রের প্রয়োজন হয় না। আর এই বিষয়টিই পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। সময় মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহতাজ হবে এটাইতো স্বাভাবিক। কেননা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সর্বপ্রথম মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার নূর মুবারককে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আমার নূর মুবারক থেকে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে।”

অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক নূর থেকেই মূলত সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে। তাই সময় মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুখাপেক্ষী হওয়াটাই স্বাভাবিক। অর্থাৎ সময় হলো মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহতাজ। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সময়ের মুহতাজ নন। এটাই হচ্ছে বিশুদ্ধ আক্বীদা। আর এর উপর বিশ্বাস রাখাই প্রতিটি মু’মিন মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

লেখক: শিক্ষক, গবেষক, কবি ও কলামিস্ট।