ইসলামী শিক্ষায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে রোজ ৪ হাজার মানুষকে খাওয়ান, নাম প্রকাশ করেন না

ডেস্ক: মানুষ নিজের নাম প্রচারণার জন্য কতো কিছুইনা করে। এমনকি পবিত্র যাকাত, দান, ছদকা যা গোপনে করা উত্তম সেটাও লোক দেখানোর জন্য করে থাকে অনেক। কিন্তু হাল যামানায় এমন লোক কি পাওয়া যায় যিনি কিনা দৈনিক চার হাজার মানুষের মেহমানদারি করেন, কিন্তু নিজের নাম প্রকাশ করেন না; এমনকি কখনো চেহারাও দেখান না? কল্পনাই করা যায় না।

এমনটাই ঘটছে আবু ধাবি কোনিচের ৫৯ নম্বর ভিলার প্রাঙ্গনে। দৈনিক বিকেল ৪টার মধ্যেই  বিপুল লোকের সমাবেশ ঘটে। বিরিয়ানির খুশবুতে চারদিক মৌ মৌ যায়। লোকজন প্লাস্টিকের বাক্স, ধাতব পাত্র, ম্যালামাইনের প্লেট, এমনকি হটপট পর্যন্ত নিলে লাইনে দাঁড়িয়ে যান। সবাই অপেক্ষায় থাকেন বিরিয়ানির জন্য।

ওই এলাকার জন্য এটা বেশ পরিচিত একটি দৃশ্য। লাইনে দাঁড়ানো লোকগুলো রোজাদার। তারা লাইনে দাঁড়িয়েছেন সুস্বাদু বিরিয়ানির জন্য।

কোনিচের ৫৯ নম্বর বাড়ির মালিক এভাবেই রমজান মাসে প্রতিদিন চার হাজারের বেশি লোককে বিনামূল্যে বিরিয়ানি খাইয়ে থাকেন। আর এই কাজটি তিনি করে যাচ্ছেন গত ১০ বছর ধরে।

আবদুল কাদের নামের এক ভারতীয় এই বাড়ির মালিকের অধীনে কাজ করছেন ৪০ বছর ধরে। ভারতের কেরালায় তার আদি নিবাস। তিনি এই বিশাল রান্নার আয়োজন ও বিতরণের তত্ত্বাবধায়ক। তবে বিরিয়ানি তৈরি এবং অন্যান্য কাজে সহায়তা করেন আরও ২৫ জন।

আর যিনি এতো লোকের খাবারের ব্যবস্থা করছেন, তিনি কখনো পরিচয় প্রকাশ করেন না। আমিরাতি ওই ভদ্রলোক তার নাম পর্যন্ত প্রকাশ করতে চান না। পাচক আবদুল কাদের বলেন, ধর্মের নির্দেশনায় তিনি এই কাজ করছেন। পবিত্র ইসলাম ধর্মে গরিব ও বঞ্চিতদের সহায়তা করতে উৎসাহিত করা হয়। সেই শিক্ষার অালোকে তিনি এ কাজ করেন।

abudabi-biriani host

রান্নাঘরের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল কাদের বলেন, চার হাজার লোকের জন্য ৪৫০ কেজি চাল, ৪০০ কেজি গোশত (মুরগি, খাশি বা গরু) এবং ১০০ কেজি সবজি প্রয়োজন হয়। ভোর ৫টায় তারা কাজ শুরু করেন। বিকেল ৩টার মধ্যে বিরিয়ানি তৈরি হয়ে যায়।

সূত্র: গালফ নিউজ