পবিত্র আশুরা উপলক্ষে কি কি আমল করবেন
মুহম্মদ বাহাউদ্দীন চিশতী: পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ হিজরী সনের ১২টি মাসের মধ্যে অত্যন্ত সম্মানিত একট মাস। বিশেষ করে এ মাসের ১০ তারিখ তথা পবিত্র আশুরা মিনাল মুহররম মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ফযীলতপূর্ণ একটি দিবস। মুহররমুল হারাম মাস সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে-
“তোমরা পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনাকে এবং এর মধ্যস্থিত পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিনকে সম্মান করো। যে ব্যক্তি মুহররম মাসকে তথা পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিনকে সম্মান করবে, মহান আল্লাহপাক তিনি তাকে জান্নাত দ্বারা সম্মানিত করবেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবেন।” (মিরকাত শরহে মিশকাত)
এই মাসে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে যে আমলগুলো বিশেষভাবে করণীয়-
১. এই মাসের ৯ তারিখ ও ১০ তারিখ অথবা ১০ তারিখ ও ১১ তারিখে যে ব্যক্তি দুইটি রোযা রাখবে তার পূর্বের ১ বছরের গুনাহখতা ক্ষমা করা হবে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
২. অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, এই মাসে পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন যদি কেউ রোযা রাখে তবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ৬০ বছরের দিনের রোযা ও রাতের ইবাদতের ছওয়াব দান করবেন।
৩. পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন যদি কেউ রোযাদার ব্যক্তিকে ইফতার করায় তবে সে যেন সকল উম্মতে হাবীবীকে ইফতার করালো।
৪. কোন ব্যক্তি যদি এ দিন তার পরিবারবর্গকে ভালো খাওয়ায়, পরায় মহান আল্লাহপাক তিনি তাকে এক বছরের আর্থিক সচ্ছলতা দান করবেন। (তবারনী শরীফ)
৫. কেউ যদি পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন গোসল করে, তাহলে মহান আল্লাহপাক তিনি তাকে রোগ থেকে মুক্তি দিবেন এবং এক বছরের মধ্যে মৃত্যু ব্যতীত আর কোনো কঠিন রোগ হবে না। অলসতা ও রোগ-শোক, দুঃখ-কষ্ট থেকে হিফাজত করবেন।
৬. পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন যদি কোনো মুসলমান কোনো ইয়াতিমের মাথায় হাত বুলায় এবং ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ায় এবং কোনো পিপাসার্তকে পানি পান করায়, তবে মহান আল্লাহপাক তিনি তাকে বেহেশতের দস্তরখানায় খাদ্য খাওয়াবেন এবং বেহেশতের ‘সালসাবীল’ ঝরণা থেকে পানি দান করাবেন। অর্থাৎ তিনি জান্নাতী হবেন।
৭. কেউ যদি এদিনে মেশক মিশ্রিত সুরমা (ইছমিদ) চোখে দেয়, তাহলে মহান আল্লাহপাক তিনি তাকে এক বছরের জন্য চোখের রোগ থেকে শেফা দিবেন। সুবহানাল্লাহ!