কোরবানি নিয়ে ষড়যন্ত্র, প্রতিবাদের ঝড় সামাজিক গণমাধ্যমে
ডেস্ক: সামনে আসছে পবিত্র কোরবানির ঈদ। বরাবরের মতো এবারেও সরকার ও প্রশাসের তরফ থেকে জারি করা হচ্ছে নানা বিধি নিষেধ, নিয়মকানুন। পরিবেশ, যানজট ইত্যাদির কারণ দেখিয়ে আরোপিত এসব নিয়ম কানুন, কোরবানির স্বাধীনতাকে হরণ করা হচ্ছে এবং কোরবানিতে নিরুৎসাহি করা হচ্ছে বলে সমালোচনা উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে যতটুকু না লেখালেখি হচ্ছে তারচেয়ে বেশি সমালোচনার ঝড় বহে যাচ্ছে সামাজিক গণমাধ্যমগুলোতে। গণমানুষের গণরোষ ফুটে ওঠছে কোরবানি বিরোধী ষড়যন্ত্র নিয়ে লেখা বিভিন্ন স্ট্যাটাস ও ছবিতে। এখানে কয়েকটি স্ট্যাটাসের সংক্ষিপ্তরূপ তুলে ধরা হলো-
১. পবিত্র কোরবানির স্পট নির্দিষ্ট করা, সরকার পতনের ফাঁদ নয়তো? বর্তমান সরকারের পতন ঘটনানোর জন্য বিদেশী শক্তিগুলো অনেক দিন ধরেই চক্রান্ত করে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের প্রায় চক্রান্ত এখন পর্যন্ত বিফল।
সম্প্রতি সরকারের একটি মহল থেকে কোরবানির স্পট নির্দিষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। অথচ এ ধরনের সিদ্ধান্ত জনবহুল বাংলাদেশে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, যা জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলবে। আর জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেলে সরকার কি পারবে তার গদি টিকিয়ে রাখতে?সুতরাং বিদেশিদের কুবুদ্ধি-কুপরামর্শ না শুনে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে দেশ পরিচালনা করতে হবে।২. কোরবানী নিয়ে ষড়যন্ত্র কঠোর হস্তে বন্ধ না করলে সরকারের সহযোগিতা প্রমাণিত হবে। পবিত্র কোরবানী মুসলমানদের ঈমানের সাথে অর্থাৎ মুসলমানিত্বের সাথে সম্পৃক্ত, যা গোটা দেশের জন্য শুধু বরকতের কারণই নয়; বরং অর্থনৈতিকভাবেও ব্যাপক সমৃদ্ধির কারণ। এই বরকতময় কোরবানীতে যেন মুসলমানগণ বাধাগ্রস্ত হয়, কোরবানীর সংখ্যা যেন ধীরে ধীরে কমে আসে, কোরবানীতে যেন বিশৃঙ্খল সৃষ্টি হয় এবং এ অজুহাতে কোরবানী যাতে বন্ধ করে দেয়া যায় এজন্য বছরের পর বছর কোরবানী নিয়ে ষড়যন্ত্র করে আসছে কিছু ইসলামবিদ্বেষী মহল।
এবছর দেখা যাচ্ছে, নানা অজুহাতে রাজধানীতে কোরবানীর পশুর হাট কমিয়ে দিতে চাচ্ছে। পশু জবাইয়ের জন্য স্পট নীর্ধারিত করে দিচ্ছে। অ্যানথ্রাক্স, মোটাতাজাকরণ ইনজেকশন ইত্যাদি অপপ্রচার করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র বন্ধ না করতে পারলে তা শুধু সরকারের ব্যর্থতাই প্রমাণিত হবে না; বরং এটাও স্পষ্ট হবে যে এসব ষড়যন্ত্রে সরকারও সহযোগী। নাউযুবিল্লাহ!৩. এতো কম সংখ্যক হাট থেকে পবিত্র কোরবানির পশু কেনা সম্ভব নয়। কোরবানিতে সরকারিভাবে রাজধানীতে পশুর হাট কমানো হয়েছে। নিরাপত্তা, যানজট ইত্যাদির অজুহাতে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ও বড় বড় হাটগুলো ঢাকার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এসব মূলত ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়।
স্মরণ রাখতে হবে, পশুর হাট অন্যত্র সরিয়ে নেয়া বা হাটের সংখ্যা কমিয়ে দেয়ার কারণে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে, যানজট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, নিরাপত্তাজনিত হুমকি আরো বাড়বে বৈ কমবে না। এটা একটা সাধারণ সমঝদার মানুষের পক্ষেও উপলব্ধি করা কঠিন নয়।এসব ছাড়াও কোরবানির হাটের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে সেখানে চাহিদার তুলনায় পশু সঙ্কট দেখা দিবে। ফলে ছোট পশুও অনেক দাম দিয়ে কিনতে হবে, পছন্দমতো সুন্দর পশু পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।সুতরাং কোরবানির হাট না কমিয়ে, বরং প্রতিটি ওয়ার্ডে পশুর হাট স্থাপন করতে হবে। রাজধানীর প্রতিটি মাঠে হাট স্থাপন করতে হবে। তাহলে মানুষের চলাচলের পথ কমে আসবে, যানজট কমবে, পশুর দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে সর্বোপরি কোরবানির পশু কিনতে গিয়ে মানুষের ভোগান্তি কমে আসবে।৪. পরিবেশ দূষণ ও যানজটের অজুহাতে পবিত্র কুরবানীর হাট ও জবাইয়ের স্থান দূরে সরিরে দেয়া; পবিত্র কুরবানীর পশুকে ইহানত করার শামিল; যা কাট্টা কুফরী।।