২২ চুক্তি ও প্রতিরক্ষাসহ ৪টি সমঝোতা স্মারক সই

ডেস্ক: ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে ২২টি চুক্তি ও ৪টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল বাগলে এক টুইট বার্তায় চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে দুপুরে হায়দরাবাদ হাউজে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই নেতা নিজেদের মধ্যে একান্ত বৈঠকের পর দুই দেশের সংশ্লিষ্ট নেতা ও কর্মকর্তাদের নিয়ে শীর্ষ বৈঠক করে।

বৈঠক শেষে যৌথভাবে ব্রিফ করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। তিস্তা চুক্তির বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেছে, একমাত্র বাংলাদেশ ও ভারত সরকারই পারবে তিস্তা সমস্যার সমাধান করতে। খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা হবে।

ভারতের সঙ্গে যে প্রতিরক্ষা চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশ তোলপাড় এবং শনিবার (৮ এপ্রিল) যেটা স্বাক্ষরিত হলো সমঝোতা স্মারকের আকারে। তবে তা অনেক আগেই সই হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন বিরোধী দলের মূল আশঙ্কা ছিল, এটা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য একটা হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি চীন থেকে কেনা দুটি সাবমেরিন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়ার পর,ভারত আতঙ্কিত হয়েই তড়িঘড়ি এই ধরনের একটি চুক্তি করতে চাইছে, এমনও মন্তব্য করেছিলেন অনেকে।

অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার জন্য বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিতে আগ্রহ জানিয়েছে ভারত। তবে ভারত থেকেই অস্ত্র কেনার বাধ্যবাধকতা বাংলাদেশের ওপর থাকবে না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। শনিবার (৮ এপ্রিল) দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

বঙ্গবন্ধুর নামে দিল্লিতে সড়কের নামকরণ করায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ব্রিফিংয়ের আগে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী খুলনা-কলকাতা ট্রেন ও খুলনা-কলকাতা বাস সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসময় পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। এসময় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ের হিন্দি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেন তারা।

এর আগে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে হায়দরাবাদ হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় এই বৈঠকে বসেন তারা।

বৈঠকের আগে টুইটে মোদি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসবে। সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা হবে।