এখন সীমান্ত দিয়ে শুধু মাদক নয়, ঢুকছে অস্ত্রের চালান

শফিকুল ইসলাম : সময় বদলের সাথে সাথে বদলায় যুদ্ধের ধরন। একটি দেশের শাসক ও জনগণের মনস্তাত্ত্বিক বিবেচনায় ওই দেশের যুদ্ধ পরিচালনা কৌশলের ভিন্নতা থাকে। বাংলাদেশকে সিকিম বানাতে কিংবা পার্বত্য চট্টগ্রাম পূর্ব-তিমুর বানাতে বিদেশী গোয়েন্দাদের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ যখন দীর্ঘ সময় নিচ্ছে, তখন অপারেশন ক্লিন হার্ট পরিচালনার বিকল্প খুঁজে পাচ্ছে না বিদেশী গোয়েন্দারা।

স্বাধীন বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে এখন আমেরিকা-মোসাদ আর ‘র’- এই তিনে এখন মাস্তুতো ভাই। ভারতের গোয়েন্দারা এতোদিন সাহিত্য, সংস্কৃতি, টিভি চ্যানেলের আগ্রাসন চালিয়েছে, এখনো অব্যাহত আছে। কিন্তু এ ষড়যন্ত্রের সফলতা বহুদূরে। একই সাথে চালিয়েছে মাদক আগ্রাসন। ভারত-বার্মার সীমান্ত দিয়ে বাঁধভাঙ্গা বন্যার মতো ঢুকেছে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, মদসহ বিভিন্ন মাদক। এই আগ্রাসনের তাদের কিছু সফলতা আসলেও তা দীর্ঘ মেয়াদি। তাদের এখন ধৈর্য্যে কুলাচ্ছে না। তাই এখন ডাইরেক্ট এ্যাকশন। যেভাবেই হোক বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে হবে, আইএস আছে স্বীকার করাতে হবে। সন্ত্রাসবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

সে লক্ষ্যেই দেশের সীমান্ত দিয়ে আসছে অস্ত্রের চোরা চালান। বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, আগ্নেয়াস্ত্র, ‘মেড ইন ইসরাইল’ লেখা অস্ত্র ধরা পড়ছে। গুলশান হামলার পরের দিন হিলি সীমান্তে অস্ত্রসহ ধরা পড়লো তিন ভারতীয় হিন্দু। সাথে অস্ত্রের চালান। এই গুলশান হামলার কিছু দিন আগে উত্তরার খালে উদ্ধার হলো বিপুল অস্ত্রের ভান্ডার। এতো অস্ত্র কারা সরবরাহ করছে? সীমান্ত দিয়ে একসময় জীবননাশী মাদক প্রবেশ করতো। সেটা ছিলো বাঙালি জাতিকে তিলে তিলে মারার অস্ত্র। কিন্তু এখন সীমান্ত ঢুকছে বড় বড় অস্ত্রের চালান। হতে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী ষড়যন্ত্রকারীরা এখন এক্সট্রিমপন্থা অবলম্বন করছে।