হার্ভে’র আঘাতে লণ্ডভণ্ড টেক্সাসে ভূমিধস, প্রবল বন্যার আশঙ্কা

ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে গত ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড় ক্যাটাগরি ফোর হারিকেন ‘হার্ভে’তে লণ্ডভণ্ড হয়েছে। তবে প্রথম ক্ষতির চেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে এখন হঠাৎ বন্যার ভয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, উপকূলে আঘাত হানার পর হারিকেন হার্ভে পরিণত হয়েছে মৌসুমি ঝড়ে। কিন্তু এর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাত টেক্সাসে এক প্রলয়ঙ্করী এবং প্রাণনাশী বন্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে-এমনটাই জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টার- এনএইচসি।
রাজ্যটির গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট জানিয়েছে, এখন তার মূল উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রচ- বৃষ্টিতে নাটকীয়ভাবে দেখা দেয়া বন্যার আশঙ্কা।
হার্ভে যে দুইটি শহরের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে, সেই হুস্টন আর কর্পাস ক্রিস্টিতে এরইমধ্যে পঞ্চাশ সেন্টিমিটারের ওপর বৃষ্টিপাত হয়ে গেছে, আর সেটা অব্যাহতও রয়েছে। মিস্টার অ্যাবট আরো বলেন যে, স্থানীয় নদীর পানি এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, কর্তৃপক্ষ একটি জেলখানা থেকে পাঁচ হাজারের মতো কয়েদিদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে।
শহরটির মেয়র চালর্স ওয়াক্সের বর্ণনায় ঝড়টি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে শহরের ঘরবাড়িগুলোকে।
ওয়াক্স বলছে, “সব ধরনের নাগরিক সুবিধা বিঘ্নিত হয়েছে এখানে। যোগাযোগের মাধ্যমের ক্ষতি হয়েছে, ইন্টারনেট নেই, সেলুলার কিংবা ল্যান্ড ফোনের লাইনও নিষ্ক্রিয়। আমরা সার্বিক ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা চালাচ্ছি, যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ধারকারী দল চেষ্টা করছে রাস্তা তৈরি করে নাগরিকদের কাছে পৌছাতে, তাদের প্রয়োজন মেটাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালালেও ঝড়ে ভীষণভাবে ধ্বংস হওয়ায় খুব কমই আমরা তাদের সাড়া দিতে পারছি।”
কর্তৃপক্ষ বলছে, তিন লাখের মতো মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছে। এছাড়া বন্যার পাশাপাশি ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে কর্পাস ক্রিস্টি আর রকপট শহরে।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সপ্তাহে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখতে আসবে।