মায়ানমারসহ প্রায় গোটা বিশ্বের মুসলিম গণহত্যায় সৌদি সরকার জড়িত!

ডেস্ক: এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লুটপাট করে ধনী দেশ হয়েছিলো। সন্ত্রাসী সুপার পাওয়ারও ছিলো। বর্তমানে তারা কঠিন অভাবগ্রস্ত দেশে পরিণত হয়েছে। এখন সেদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারীর সংখ্যা অনেক। সন্ত্রাসী যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকদের এক-চতুর্থাংশ দরিদ্র। এই দরিদ্রের মধ্যেও আবার বর্ণভিত্তিক বৈষম্য ও নারী-পুরুষের বৈষম্য রয়েছে।
আর মুসলমানদের প্রতি আক্রমণের, নির্যাতনের, নিপীড়নের গযব শুধু আমেরিকায় নয়, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, গ্রীস, ইতালী, ইসরাইল সমগ্র ইউরোপ, কানাডা, ভারত, চীন, নেপাল, মায়ানমারেও শুরু হয়ে গেছে। সেখানেও বন্যা, ভূমিকম্পসহ অসংখ্য খোদায়ী গযবে লক্ষ লক্ষ লোক মারা গেছে এবং যাচ্ছে ও কোটি কোটি লোক গৃহহীন হয়েছে এবং হচ্ছে। তারা যদি এখনও তওবা না করে, মুসলমান উনাদের উপর নির্যাতন বন্ধ না করে তবে অচিরেই তারা প্রত্যেকেই আরো কঠিন গযবে পড়ে ক্ষমতাচ্যুত ও অর্থহীন হয়ে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করবে। ইনশাআল্লাহ!
কাফির-মুশরিকগুলো খোদায়ী গযব অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে ফকির হয়ে যাওয়ায় মুসলমানদের উপর যুলুম করার কোনো ক্ষমতাই তাদের ছিলো না। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য যে, মুসলমান নামধারী হাক্বীক্বতে আন্তর্জাতিক মুনাফিক সৌদি ওহাবী ইহুদী সরকারসহ কয়েকটি মুসলিম দেশের সরকার মুনাফিক ও কাফিরের গোলাম হওয়ায় তারা মুসলমানদের প্রতি যুলুম-নির্যাতন চালাতে কাফির-মুশরিকদের অর্থসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
যেমন, ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এ বলা হয়েছিল, গাজায় ইহুদীবাদী ইসরাইলি হামলা বা যুদ্ধের পুরো খরচ বহন করছে সৌদি, জর্দান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর সরকার।  ঠিক একইভাবে বর্তমানে মুশরিকদের দেশ মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যে নৃশংস ও ইতিহাসের জঘন্য হত্যাকান্ড বা যুলুম-নির্যাতন চলছে তার মূলেও রয়েছে সৌদি ইহুদী সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ। আর একারণেই সউদী পত্র-পত্রিকায় যালিম বর্বর মায়ানমারের মুশরিক সরকারের জঘন্যতম যুলুম-নির্যাতনকে সমর্থন করা হচ্ছে।
পৃথিবীর সকল মুসলমান উনাদের উচিত- এর তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা এবং তা প্রতিহতকরণে এগিয়ে আসা।  সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারসহ সকল মুনাফিক ও বিধর্মীদের সতর্ক করা হচ্ছে- তারা যদি মুসলমান উনাদের প্রতি আগ্রাসী অপতৎপরতা বা যুলুম বন্ধ না করে, তবে তারা প্রত্যেকেই আরো ব্যাপকভাবে খোদায়ী গযবে পড়ে ক্ষমতাচ্যুত ও অর্থহীন হয়ে, ফকির হয়ে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে খাবে। অর্থাৎ যারা মুসলমান উনাদের উপর যুলুম করেছে; করছে এবং করবে তাদের সবারই একই পরিণতি হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। ইনশাআল্লাহ! – আল ইহসান