কুরবানীর পশুর প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ মানুষের জিবিকা নির্বাহের উপযোগী

ঢাকা: বর্তমানযুগে ইসলামবিদ্বেষী কতগুলো মহল বের হয়েছে যারা রিতীমত কুরবানী করতে বাধা প্রদান করে থাকে। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তারা জনগণকে পবিত্র কুরবানী করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু তারা কী আদৌ জানে যে, কুরবানী করা যেমন ফায়দাজনক, তেমনি ফায়াদজনক সেই পশুর প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ? যেমন পবিত্র কুরবানীর পশুর হাড় দিয়ে তৈরি হয় জরুরী ওষুধ ক্যাপসুলের কভার, নাড়ি দিয়ে অপারেশনের সুতা, রক্ত দিয়ে পাখির খাদ্য, চর্বি দিয়ে সাবান, পায়ের খুড় দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ক্লিপ ইত্যাদি।

শুধু তাই নয়, হাড়গোড় দিয়ে ওষুধ, বোতাম আর ঘর সাজানো নানা উপরকরণ তৈরি করা যায়। এছাড়া নানা দেশে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয় নাড়িভুঁড়ি। আন্তর্জাতিক বাজারে পিত্তথলির রয়েছে বিশাল চাহিদা। এ দিয়ে তৈরি হয় জরুরী ওষুধ।

এর পাশাপাশি হাড়, খুর, দাঁত, শিং ও রক্ত দিয়ে তৈরি হয় ক্যাপসুলের কভার জেলোটিন, ক্যামেরার ফিল্ম, সিরিশ কাগজ, আর পশুপাখির খাবার। এছাড়াও কুরবানীর বর্জ্য দিয়ে উৎকৃষ্ট জৈব সার তৈরি হয় যেটা দেশের মাটির আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়া উর্বরতা ব্যাপক হারে বাড়াতে অনেক ভূমিকা পালন করতে পারে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজ দেশের ৯৮ ভাগ মুসলমানরা এসব ফায়দা থেকে নিয়মিত মাহরূম থাকছে। শুধুমাত্র মুসলমানদের ঈমান আমল ধ্বংসকারী ইসলামবিদ্বেষী, মহলগুলোর জন্য। তারা মুসলমান উনাদের মগজ ধোলাই করে দিচ্ছে। তাই সরকারের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের সকলকে বেশি বেশি কুরবানী করে উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের তাওফীক্ব দান করেন। আমীন।