ভারতের মুসলিম শাসনের ইতিহাস মুছে দিতে মোদির কমিটি

ডেস্ক: “হিন্দু দেশ ভারত। মুসলিমরা এসেছে বাইরে থেকে। কাজেই তারা আশ্রিত।” সেই ভাবধারা বজায় রাখতেই দেশের ইতিহাস থেকে মুসলমানদের সবকিছু মুছে দিয়ে একটা নতুন ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী দলের সদস্যরা। এই নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করে ফেলেছে মোদি। সবটাই হচ্ছে চুপিসারে। গত ৬ মাস ধরে ভারতের ইতিহাস নতুন করে লেখার কাজ শুরু করেছে হিন্দুত্ববাদী ইতিহাসবিদরা। ১৪ জন হিন্দু ইতিহাসবিদ সেই কর্মযজ্ঞে মশগুল।

নতুন ইতিহাসে থাকবে না কোনও মুঘল সাম্রাজ্য। সেখানে আকবর আর থাকবে না কথিত সম্প্রীতির সম্রাটের আসনে। অনেকটা আলাউদ্দিন খলজি এবং মুহম্মদ ঘোরির মতই তৈরি হিন্দু বিরোধী শক্তি হিসেবে তুলে ধরা হবে আকবরকে। মুঘল সাম্রাজ্যের ধর্মান্তকরণের দিকটা বেশি করে লেখা থাকবে সেই ইতিহাসে। মুঘলরা আসার আগে ভারতে যে কেবল হিন্দুদের দেশ ছিল সেটা ফুটে তোলার প্রবল চেষ্টা চলবে এই নতুন বিকৃত ও কারচুপির ইতিহাসে।

আকবরের রাজপুতানি রানি শুধুমাত্র কথিত ‘লাভ জিহাদে’ প্রাচীন রূপ সেটা প্রকট করতে বদ্ধ পরিকর আরএসএস। যেভাবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নেতিবাচক দিকটাই ইতিহাস। ঠিক সেভাবেই মুঘল সাম্রাজ্য-এর ইতিহাস বিকৃত করেই তুলে ধরা হবে। মুঘল সাম্রাজ্য থেকেই যে ভারত লুটের প্রবণতা তৈরি হয়েছিল, সেটা তুলে ধরতে বলা হয়েছে নতুন কারচুপির ইতিহাসবিদদের।
কমিটির চেয়ারম্যান কে এন দিক্ষিত জানিয়েছে, আমাকে এমন কিছু তথ্য দিতে বলা হয়েছে যাতে বিকৃত ও কারচুপির ইতিহাস নতুন করে লিখতে সুবিধা হয় কমিটির সদস্যদের। মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমেন-এর প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াসির দাবি, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সমানভাবে অংশ নিয়েছিল মুলসিমরা। সেসময় কখনোই তাদের আলাদা চোখে দেখা হত না। কিন্তু দেশের সরকার এখন মুসলিমদের দ্বিতীয় স্তরের নাগরিক হিসেবে দেখাতে চায়।
ইতিমধ্যেই রাজস্থানের স্কুল পাঠ্যে সম্রাট আকবরকে দেশের শত্রু হিসেবেই তুলে ধরা হয়েছে। সেই ধারাতেই লেখা হচ্ছে দেশের নতুন মুসলিমবিদ্বেষী ইতিহাস।