বাজেটে শ্রমজীবী মানুষ উপেক্ষিত

ঢাকা: ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শ্রমজীবী মানুষ উপেক্ষিত বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সংবাদ সম্মেলনের করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। সোমবার সকাল ১১টায় রাজধানীর ৩১/এফ তোপখানা রোডে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন যুগ্ম সমন্বয়ক ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সভাপতি জনাব কামরূল আহসান। এ সময় শ্রমিকদের জন্য জাতীয় নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ ও রেশনিং ব্যবস্থা চালুসহ ৯ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাজেট শুধুমাত্র আয়-ব্যয়ের হিসাব নয়, এটা অর্থনৈতিক দিক নির্দেশনাও বটে। বাজেট প্রনয়ণের সময় স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা থাকে বাজেটে শ্রমজীবী মানুষের জন্য কোন কোন খাতে কত বরাদ্দ হবে তা জানার। প্রস্তাবিত এই বাজেটের অর্থ সংস্থান করছে যে শ্রমজীবী মানুষ তাদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ কত তা নিয়ে তেমন আলোচনা কোথাও নেই। ১১৮ পৃষ্ঠার বাজেট বক্তৃতার মধ্যে শ্রমিকদের জন্যে বরাদ্দের পরিমাণ খুঁজে পাওয়া কঠিন।

বাংলাদেশ লেবার ফোর্স সার্ভে ২০১৩ অনুযায়ী দেশের মোট শ্রমশক্তি ৬০.৭ মিলিয়ন। যা মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি। এই শ্রমজীবী মানুষেরা দেশের অর্থনীতি সচল রাখে, জিডিপি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। অথচ তাদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ খুবই সামান্য। বাজেট প্রণয়নের পূর্বে শিল্প মালিক ব্যবসায়ীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষের প্রতিনিধিদের মতামত নেয়া হয়নি। শ্রমজীবী মানুষেরা এই বাজেটে উপেক্ষিত।