পাট রফতানিতে ১১ মাসে আয় ৮২ কোটি ডলার

পাট

ঢাকা: চলতি অর্থবছরের গত ১১ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও রপ্তানি ও রপ্তানি আয় বেড়েছে। এই সময়ে এ খাতে আয় হয়েছে ৮২ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার ৪১৭ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রকাশিত (জুন মাস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৯৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ১১ মাসের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৫ কোটি ৪৩ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।

এই সময়ের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে আয় হয়েছে ৮২ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের ১১ মাসের তুলনায় পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে আয় হয়েছিল ৭৯ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১১ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ কোটি মার্কিন ডলার।

ইপিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে কাঁচা পাট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৪ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৮ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৪ শতাংশ ১৭ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাতে।
পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫০ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম। একই সঙ্গে গত অর্থবছরের তুলনায় এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ কমেছে।

পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতে আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার।

পাটের অন্যান্য দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় শূন্য দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ কমেছে।

বাংলাদেশ রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, পাট বাংলাদেশের সোনালি আঁশ। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এই শিল্প নানা সমস্যায় পড়েছে। রপ্তানিও কমেছে। এজন্য সরকারকে শিগগিরই এ শিল্পের দিকে নজর দেওয়া উচিত।