ট্রাম্পকে হুঁশিয়ার করে দিলেন এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোযগান বলেছেন, সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য কুর্দিদের সাথে আমেরিকার আঁতাত তিনি মেনে নেবেন না।

ওয়াশিংটন সফররত এরদোগান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমাদের অঞ্চলে কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের স্থান ভবিষ্যতে থাকবে না।”

গত সপ্তাহে আমেরিকা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিরিয়ার ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমেরিকা কুর্দিদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করবে। বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড অনুমোদনও করেছেন।

সে প্রেক্ষাপটে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বিষয়টি নিয়ে তার অসন্তোষের কথা জানালেন। কিন্তু তারপরেও উভয় নেতা দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ” আমাদের বেশ চমৎকার সম্পর্ক আছে এবং ভবিষ্যতেও সেটি থাকবে।”
কুর্দিদের সংগঠন কার্ডিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটকে তুরস্ক একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে। তারা সিরিয়ায় আরো ভূমি দখল করুক সে বিষয়টি চায় না তুরস্ক। এরদোগান বলেন কুর্দিদের সংগঠনগুলোকে মিত্র হিসেবে নেবার যে চেষ্টা আমেরিকা করছে সেটি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের সময় এরদোগান আমেরিকায় বসবাসরত তুরস্কের একজন ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লা গুলেনের বিষয়টি তুলে ধরে।

এরদোগান মনে করেন গত বছরের জুলাই মাসে তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য গুলেন দায়ী। তাকে তুরস্কের হাতে তুলে দেবার জানিয়ে আসছেন এরদোগান। যদিও গুলেন বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করছেন। সূত্র : বিবিসি