পশুর বর্জ্য থেকে আয় ২৫০ কোটি

ঢাকা: শুধু পশুর বর্জ্য রফতানী করে বাংলাদেশ প্রায় আড়াইশ’ কোটি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। এ হিসাব চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের। আমদানি ও রফতানী নিয়ন্ত্রকের দফতর সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

দফতরের প্রধান আফরোজা খান ফোনে বলেন, মৃত গরু ও ছাগলের বর্জ্য বর্তমানে ৯টি দেশে রফতানী হচ্ছে। বিশ্ববাজারে এর চাহিদাও বাড়ছে। সেই তুলনায় আমরা রফতানী করতে পারছি না। এর কারণ জানতে চাইলে আফরোজা খান বলেন, পশুর বর্জ্যের মূল উৎস গোশত ব্যবসায়ীরা। তারা পশু জবাই করে তার বর্জ্য সংরক্ষণ করে না। রফতানীকারক ও ফরিয়াদের নিযুক্ত পথশিশুরা (টোকাই) পশুর বর্জ্য সংগ্রহ করে।

তিনি বলেন, গোশত ব্যবসায়ীরা যদি সঠিকভাবে বর্জ্য সংগ্রহ করতো তাহলে বর্জ্যের গুণগতমান ভালো থাকতো। চাহিদা পূরণেও ইতিবাচক প্রভাব পড়তো। বৈদেশিক বাজারে বর্তমানের চেয়ে আরো বেশি মূল্য পাওয়া যেত।

এক প্রশ্নের জবাবে আফরোজা খান বলেন, গরুর হাড় দিয়ে সৌখিন চিরুনি তৈরি করে অনেক দেশ। তাছাড়া নানা ধরনের ওষুধ ও প্রসাধনীর কাঁচামাল হিসেবেও এ বর্জ্য ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশ গোশত ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, সরকার উদ্যোগ নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরাসরি পশুর বর্জ্য সংগ্রহ করলে এর যোগান ২/৩ গুণ বেশি হতো।