আযান নিয়ে কবিতা ও কবি শামসুল হক

আল হিলাল: কবি কায়কোবাদ লিখেছিলেন-
“কে ঐ শোনালো মোরে আযানের ধ্বনি
মর্মে মর্মে সুর, বাজিলো কি সুমুধুর
আকুল হইলো প্রাণ, নাচিলো ধমনী”।

কবি নজরুল লিখেছিলেন-
“মাসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই
যেন গোড়ে থেকে মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই।”

আর কবি শামসুর রাহমান খুব ঘৃণা ভরে লিখেছিলো-
“মুয়াযজ্জিনের আযানের ধ্বনি যেনো বেশ্যার অলিতে গলিতে”

আর শামসুল হক তার কাব্য নাট্য “মরা ময়ূর” এ লিখেছে-
“ও কাক! তুই খুব জোরে কা কা কর,
যাতে মুয়াজ্জিনের আজানটা আর শোনা না যায়!!”

উপরের দুজন কবি আযানকে তাদের বক্ষে ধারণ করেছিলেন আর নীচের দুজন তথাকথিত কবির আযানে ছিল এলারজি। যে যেমন সে তেমন করেই দেখে এবং ভাবে। কিন্তু দেখতে হবে আমাদের এই ভাবনা,চিন্তা,বলা, লেখা কতটা আল্লাহ পাক উনার পছন্দের সাথে সমর্পিত। যাই বলি, লিখি, কাজ করি তাতে বাধা নেই কিন্তু আমাদের যে একদিন বিচারের মুখোমুখি ততে হবে সে বিষয়টি ভাবনায় থাকা দরকার। বলা হয় ” পূর্ব দিগন্তে কেউ যদি একটি ভাল কাজ করে আর পশ্চিম দিগন্তে কেউ তা সমর্থন করে তবে সে তার প্রতিদান পাবে আবার বিপরীত দিক থেকে “পূর্ব দিগন্তে কেউ যদি একটি মন্দ কাজ করে আর পশ্চিম দিগন্তে কেউ তা সমর্থন করে তবে সে সেই অপরাধে যেন সংযুক্ত থাকলো।”।
যারা শামসুল নাহকের জন্য দুঃখ পেয়েছেন তাদের জন্য কেবলই বেদনা।
যারা তার মৃত্যুতে শুকরিয়া আদায় করেছেন তারা কেবল আল্লাহ পাককে ভালবাসার কারণেই।
এরকম কবির লেখায় জাতি-দেশ-মানুষ কিছুই পায়নি, পেয়েছে কেবল এক ধরণের (? ) উম্মাদনা।