সুখের জন্য বিশ্বের যত অদ্ভূত মন্ত্রণালয়

ডেস্ক: বিভিন্ন দেশে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের অদ্ভুত মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। জনগণ বা প্রজাদের প্রয়োজন মনে করেই অথাব জনগণে আন্দোলনের প্রেক্ষিতেই হয়তো বা সৃষ্টি হয় এসব মন্ত্রণালয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ‘সুখ মন্ত্রণালয়’ নামের এক অদ্ভুত মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে পৃথিবীতে এ ধরনের ব্যতিক্রমী ও উদ্ভট মন্ত্রণালয় এটাই প্রথম নয়। আরো কিছু দেশ অনেক আগেই মাথা বিগড়ানো কিছু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান প্রবর্তন করেছে। যেগুলোকে নেহাত চাকরি সৃষ্টির অজুহাত বলে মনে করেন অনেকে। এমন কিছু দেশের বেতালি নামের মন্ত্রণালয় নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।
আমিরাত: ‘সুখ-শান্তি’ এবং ‘সহনশীলতা’ মন্ত্রণালয়
মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) সরকার ‘সুখ-শান্তি’ এবং ‘সহনশীলতা’ নিয়ে দুটি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। অভিনব এই দুই মন্ত্রণালয়ের জন্য দুজন মন্ত্রীও খোঁজার কাজ শুরু হয়ে গেছে। তবে বিষয়টি হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক কর্মকর্তা। তিনি বলনে, যে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও লিঙ্গ বৈষম্য তুঙ্গে, তারা কিনা ‘সুখ-শান্তি’ এবং ‘সহনশীলতা নামে মন্ত্রণালয় খুলবে!এ যেন ভূতের মুখে রাম নাম।
ভুটান: জাতীয় সুখ কমশিন
জনগণের সুখের কথা মাথায় রেখে প্রায় ৪৪ বছর আগেই জাতীয় সুখ কমিশন গঠন করেছিলো হিমালয়ের রাজ্য নামে পরিচিত ভুটান। ২০০৮ সাল থেকে জাতীয় প্রবৃদ্ধি যাচাইয়ে মোট জাতীয় সুখকে অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচনা করছে দেশটি।
মিয়ানমার: রাষ্ট্রীয় আইন ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার পরিষদ
১৯৬২ সাল থেকে নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে সম্প্রতি গণতান্ত্রিক ধারা শুরু হলো মিয়ানমারে। সামরিক জান্তাদের কড়া শাসন আড়াল করতে ‘রাষ্ট্রীয় আইন ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার পরিষদ’ নামে একটি বিভাগ খোলা হয়। এর সামগ্রিক হর্তাকর্তা ছিলেন মাত্র ১১ জন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা। ছদ্ধবেশী এ নামের বদৌলতে নাগরিকদের মন ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণই মূল লক্ষ ছিল। কিন্তু তা সফল না হওয়ায় ১৯৯৭ সালে নামটি পল্টে রাস্ট্রীয় শান্তি ও উন্নয়ন পরিষদ দেয়া হয়।
উত্তর কোরিয়া: প্রচার ও বিক্ষোভ বিভাগ
অনেকটা যাচ্ছেতাই দাবি প্রতিষ্ঠা করতেই এ রাষ্ট্রীয় বিভাগের জন্ম। দেশটির সাবেক নেতা কিম জং ইল বার্গার আবিস্কার করেন এবং তিনি গল্ফ খেলার অভিষেকেই ১১ পয়ন্টে অর্জন করেছিলেন বলে গুজব ছড়ায় এ বিভাগ। এমন দাবিও করা হয় যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন মাত্র তিন বছর বয়সে গাড়ি চালানো শিখেছেন। এসব আবোলতাবোল প্রচারণার লক্ষেই এক সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এ বিভাগ । অন্যসব দেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে এ প্রতিষ্ঠানটি। কিম ২০১৫ সালে তার বোনকে এ বিভাগের দায়িত্ব দেন।
ভারত: যোগ মন্ত্রণালয়
যোগ ব্যায়াম ভারতে ঐতিহ্যবাহী এক প্রাকৃতিক চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য রক্ষার পদ্ধতি। আর এ প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যাপক প্রসার ও প্রচারের জন্য ২০১৪ সালে যোগ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ জন্যে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় জনগণের সামনেই ব্যায়াম করেছেন মদি। ২০১৫ সালের জুনে যোগ দিবসে তিনি আয়োজন করেছিলনে বিশ্বের বৃহত্তম যোগ ব্যায়ামের আসর। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস