পুঁজিবাদী অর্থনীতির কুফল: ১ ভাগ ধনীর সম্পদের পাহাড়

ডেস্ক: বিশ্বের সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বৈষম্যের বিষয়ে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের প্রতিবেদনকে বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতার প্রমাণ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। এর মধ্যদিয়ে আবারও পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছে।
অক্সফামের নির্বাহী পরিচালক উইনি বিয়ানইমার মতে, ধনকুবেরদের সম্পদের এই প্রবৃদ্ধি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতার লক্ষণ।

সে আরও বলেছে, যারা আমাদের পোশাক তৈরি করে এবং কৃষিকাজের মাধ্যমে আমাদের খাবারের জোগান নিশ্চিত করে, তারাই শোষণের শিকার। সুলভে খাবার সরবরাহ এবং ধনকুবের বিনিয়োগকারী ও বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা নিশ্চিত করার জন্য ওই শ্রমিকদের শোষণ করা হয়।

গত সোমবার প্রকাশিত অক্সফামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০১৭ সালে বিশ্বে সৃষ্ট ৮২ ভাগ সম্পদের মালিক হয়েছে ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তি। এর বিপরীতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই কিছুই পায়নি। এই হিসাবে, ২০১৭ সালে নতুন করে সৃষ্ট প্রতি ১০ ডলারের ৮ ডলারই গেছে ১ শতাংশ বিত্তশালীর পকেটে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বে শ্রমিকদের সম্পদ যে হারে বেড়েছে তার ছয়গুণ হারে বেড়েছে ধনকুবেরদের সম্পদ। এর ফলে দেখা যায়, কিছুসংখ্যক ধনী ব্যক্তি আরও সম্পদের পাহাড় গড়ছে। অপরদিকে কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যের মাঝে বসবাস করছে।