শিক্ষাখাতেও কালোবিড়াল!

সিরাজী এম আর মোস্তাক : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এখন কালো বিড়ালের থাবায় পড়েছে। ০৯ অক্টোবর, ২০১৬ তারিখে বেসরকারী স্কুল-কলেজে শিক্ষক বাছাই ফলাফলে তা স্পষ্ট হয়েছে। সরকারী তথ্যমতে, প্রায় আড়াই লাখ প্রার্থী পনের হাজার খালি পদের বিপরীতে সাড়ে চৌদ্দ লাখের মতো দরখাস্ত করেছিল। বিগত প্রথম নিবন্ধন থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত দেশে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক বেকার রয়েছে। এ থেকে বর্তমান বাছাই প্রক্রিয়ায় সম্পুর্ণরূপে জালিয়াতি হয়েছে।

জেলাওয়ারী ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বেশীরভাগ পদে হিন্দু ও নারী প্রার্থীদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে এটি কিভাবে সম্ভব, তা কারো বোধগম্য নয়। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটাও ব্যাপক প্রাধান্য পেয়েছে। ফলে একই প্রার্থী তথা একই নিবন্ধনধারী বহু প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। আর যথেষ্ট মেধা ও যোগ্যতা সত্ত্বেও হাজার হাজার প্রার্থী বঞ্চিত হয়েছে। বঞ্চিত প্রার্থীরা কালোবিড়ালের নিকৃষ্ট থাবায় অস্ফুট স্বরে আর্তনাদ করছে। এ কষ্ট কেউ দেখেনা।

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ দেশের নামকরা কালোবিড়াল বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে শিক্ষক নিবন্ধন কমিটি তথা এনটিআরসিএ-র কো-চেয়ারম্যান করেছেন। এ সুযোগে তিনি তার স্বগোত্রের প্রাধান্য বহাল রেখে অন্যদের বঞ্চিত করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় তাতে নিরবতা দেখিয়ে নিজেও কালোবিড়ালের দলভুক্ত হয়েছেন। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চারদিকে শুধু কালোবিড়ালের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। এদের হাত থেকে শিক্ষাখাতকে রক্ষা করতে হবে।

তাই আসুন সমস্বরে বলি-
হটাও কালোবিড়াল, বাঁচাও দেশ
লাখো শহীদের বাংলাদেশ।
শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি,
চলবেনা কোনো জালিয়াতি।
সবাই মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম, সবারই দেশ,
ত্রিশ লাখ শহীদের বাংলাদেশ।
ষোল কোটি নাগরিক সবারই রয়েছে ভাগ,
মুুক্তিযোদ্ধা কোটা নয় শুধু দুই লাখ।

লেখক: আইনজীবি
mrmostak786@gmail.com.