ভারতে তীব্র দাবদাহ, মহারাষ্ট্রে মৃত ৫

ডেস্ক: ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্র রাজ্যে হিট স্ট্রোকে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা থাকায় রাজ্যের কয়েকটি এলাকায় তাপ প্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোই দাবদাহ সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

ওই অঞ্চলের রাইগাদ জেলার ভিরা গ্রামে অস্বাভাবিক ৪৬ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি তাপমাত্রার খবরে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। বিষয়টি যাচাই করতে ভিরায় নিজেদের একটি টিম পাঠিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ।

রাজ্যটির আকোলায় ৪৪ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ওয়ার্ধা, নাগপুর ও চান্দরাপুরে ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গ্রীষ্মের শুরুতে ভারতের অন্যান্য অনেক এলাকায়ও তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়াচ্ছে।

রাজস্থানের বারমেরে ৪৩ দশমিক চার ডিগ্রি এবং হারিয়ানার নারনাউলে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দুটি এলাকার তাপমাত্রাই স্বাভাবিকের চেয়ে নয় ডিগ্রি বেশি বিরাজ করছে। পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় স্বাভাবিকের চেয়ে সাত ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। উত্তর প্রদেশের বারানাসি, এলাহাবাদ, হামিরপুর ও আগ্রায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৮ দশমিক দুই ডিগ্রি, চলতি বছরে এটিই শহরটির সবচেয়ে উষ্ণ দিন।

বছরের এ সময় উত্তরাখান্ডের রাজধানী দেরাদুনে ও কাশ্মিরের রাজধানী শ্রীনগরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবে যা থাকার কথা তার চেয়ে অনেক বেশি বিরাজ করছে। মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে ‘তাপ প্রবাহ’ বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশের রায়ালাসীমা এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে ৪০ ডিগ্রিরও বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। সোমবার আহমেদাবাদের তাপমাত্রা ৪২ দশমিক আট ডিগ্রিতে উঠেছিল, এতে ওই এলাকায় মার্চে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাত বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে গেছে।

এর আগে ২০১৫ সালের মে-জুন মাসে ভারত ইতিহাসের ভয়াবহ দাবদাহ অতিক্রম করেছিলো। ঐ বছর দেশটিতে ভয়াবহ দাবদাহে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো।