ভারতে আরো একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত: শিশুদের নিয়ে আতঙ্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত দেশ ভারতে আরো একটি মারাত্মক ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। আজ ( ৮ জুন) টাইমস অব ইন্ডিয়া এক খবরে জানিয়েছে, পুনায় অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলোজি বি,ওয়ান-ওয়ান-টু এইট-টু (B.1.1.28.2) নামক এ ভ্যারিয়েন্টটি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে। ব্রিটেন ও ব্রাজিল থেকে আগত বিদেশিদের নমুনার জেনম সিকোয়েন্স করে এ নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসটি সনাক্ত হয়েছে। বায়ো-আরেক্সিভ নামের চিকিৎসা বিষয়ক পোর্টালে। এ খবরটি প্রথম প্রকাশ পেয়েছে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, এ ভাইরাসের আক্রান্তের হার দ্রুত বিস্তার লাভ করে। আক্রান্ত ব্যক্তির ওজন কম যেতে শুরু করে, বারবার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং ফুসফুসে ক্ষত সৃষ্টি হয়। তবে দু’ ডোজ কোভ্যাক্সিন গ্রহণ করলে দেহে যথেষ্ট এন্টিবডি তৈরি হয়। কিন্তু ভ্যাক্সিনের কার্যকরিতা কতটুকু হচ্ছে তা পরীক্ষা করা দরকার বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ ।

শিশুদের নিয়ে আতংক

কোভিটের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপুল সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হবার কারণে ভারতে পিতামাতা ও পরিবারগুলির মধ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের আশংকায় শিশুদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। ইন্ডিয়ান একাডেমী অব পেডিয়াট্রিকস এর তথ্য মতে শিশুদের মধ্য কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে কখনো মৃদু উপসর্গ দেখা দেয় আবার অনেক সময় কোনও লক্ষণই টের পাওয়ান যায়না। অল্প -সংখ্যক শিশু মাঝারি-তীব্রতায় আক্রান্ত হতে পারে। এখন সার্বিকভাবেই স্বব বয়সেওর মানুষের মাঝে আক্রান্ত হবার সংখ্যা বেশী বলে শিশুদেরও আক্রান্তের হার বেশী বলে মনে হচ্ছে। এটা যে কোন বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। তবে শিশুরা যেহেতু তাদের অসুস্থতার কথা বলতে পারে না এবং তাদের রোগ-প্রতিরোধ শক্তি কম থাকে তাই তাদের ব্যাপারে মাতা-পিতা-অভিভাবকদের বিশেষ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।

এখনো যারা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না, হাসপাতালে ভর্তির জনা শয্যা পাচ্ছেনা, গুরুতর রোগীরা অক্সিজেন অভাবে মারা যাচ্ছেন, মৃত্যুর পর শ্মশান বা গোরস্তানে ঠাঁই মিলছেনা তাদের স্বজনদের আহাজারি কিভাবে উপশম হবে তার কোন বিধান দিতে পারেন নি নরেন্দ্র মোদী। এসব আহাজারির খবর নিয়ে রয়টার বার্তা স্বংস্থার সাংবাদিক দানেশ সিদ্দিকী গত ৪ জুন প্রকাশিত “উইটনেসিং কোভিড কেওস ইন ইন্ডিয়ান হসপিটালস, গ্রেভইয়ার্ডস এন্ড ক্রিমেটোরিয়ামস ” শীর্ষক এক প্রতিবেদনে নিজের মনকষ্টের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, আমার ১৪ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে বিশ্বের নানা প্রান্তে অনেক মানবিক বিপর্যয় প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু আমার নিজ শহর দিল্লীতে অল্প সময়ের মাঝে যে ভয়াবহ কোভিড বিপর্যয়জনিত মৃত্যু, মরণযন্ত্রনা, এবং করুন কাহিনী দেখতে পেয়েছি তার কোন তুলনা মেলেনা।

এর আগে ভারতের বিশিষ্ট মানবাধিকার নেত্রী লেখিকা অরুন্ধতী রায় লিখেছেন, আমরা দেখছি মানবতার বিরুদ্ধে সংঘঠিত একটি অপরাধ।