ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত নই বললেন অর্থমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : দেশে বিদ্যমান তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত নন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রসঙ্গত: এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা তিনটি ব্যাংককে (বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, দ্য সিটিজেন ব্যাংক ও পিপলস ব্যাংক) গত রোববার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে দেশে সব মিলিয়ে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২টি। তবে বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী, ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন (পেইড-আপ ক্যাপিটাল) ৪০০ কোটি টাকার পরিবর্তে ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহলের সমালোচনা সত্ত্বেও নতুন তিনটি ব্যাংকের অনুমোদনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমি মনে করি, সংখ্যা দিয়ে নয়, আমাদের চাহিদা আছে কি না, চাহিদা নিরূপণ করে যদি করা হয়ে থাকেÑ ইন দ্যাট কেইস ফাইন, ইটস ওকে। আমার বিশ্বাস, সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং যারা সংশ্লিষ্ট আছেন, তারা সবাই কমপ্লিটলি একটা স্টাডি করে, স্টাডির ভিত্তিতেই কাজটি করেছেন। পাশাপাশি ব্যাংক ব্যাংকগুলো নিয়ম মেনে চলছে কি না, গ্রাহকদের সেবা দিতে পারছে কি না Ñএটাই আসল কথা।
তিনি বলেন, আমাদের যে ব্যাংকগুলো আছে, তাদের পেইড-আপ ক্যাপিটাল ৪০০/৫০০ কোটি টাকা, দিস ইজ হোয়াট? বিদেশে যে কোনো একটি ব্যাংকের ব্রাঞ্চের সম-পরিমাণ পেইড-আপ ক্যাপিটাল ও রিসোর্সেস আমাদের ২০টি ব্যাংকেরও নেই। সুতরাং সংখ্যা দিয়ে হবে না। বড় একটা (ব্যাংক) করা যেতে পারে, ৫০টা না করে। সে-ই একই কথা হলো।
নতুন ব্যাংকগুলোর পেইড-আপ ক্যাপিটাল ৪০০ কোটি টাকার পরিবর্তে ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণের শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ইট ইজ গুড, ভেরি গুড। আস্তে আস্তে পেইড-আপ ক্যাপিটাল যদি বাড়ানো যায়, তাহলে সেইফটিনেটটা বড় হয়। আমার মনে হয়, সেই উদ্দেশেই তারা এটা করেছে। আস্তে আস্তে এটা আরও বাড়াতে পারে।
অনুমোদন পাওয়া ব্যাংক তিনটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনটি ব্যাংক সম্পর্কে আমাকে আগে জানতে হবে। আমি এখনও জানি না।
ব্যাংক মার্জার (একীভূতকরণ) করার কথা বলা হচ্ছে’ Ñএ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, মার্জার করার যদি কোনো প্রয়োজন হয় তাহলে মার্জার অবশ্যই করা হবে। এখন ব্যাংকগুলোকে আমরা কিছু কথাবার্তা বলছি। তাদের কিছু শর্ত দেয়া হবে, তারা কীভাবে পারফর্ম করবে, কীভাবে ক্ল্যাসিফাইড লোন কমিয়ে আনা হবে। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে ক্ল্যাসিফাইড লোন। এটা কমিয়ে নিয়ে আসতে হলে ব্যাংকগুলোকে একটা অবস্থান সৃষ্টি করে দিতে হবে যে, তারা এটা কীভাবে করবে। আশির দশক থেকে লোন ক্লাসিফাইড হয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, লোনগুলো কীভাবে ক্ল্যাসিফাইড হলো তা দেখার জন্য আমরা শিগগিরই স্পেশাল অডিটের ব্যবস্থা করছি। স্পেশাল অডিটের পর আমাদের কথা বলা ভাল হবে।