বাইডেনের উপর খেপেছেন এরদোয়ান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভ্লাদিমির পুতিনকে খুনি বলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বাইডেনের এই মন্তব্য ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘একজন প্রেসিডেন্টের জন্য যথাযথ নয়’ বলে জানিয়েছেন এরদোয়ান। খবর: আল জাজিরা।

এর আগে গত বুধবার টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে খুনি বলে মন্তব্য করেন বাইডেন। পরে বাইডেনের মন্তব্যের জবাবে পুতিন বলেন, ‘রতনে রতন চেনে’ অর্থাৎ পরোক্ষভাবে বাইডেনকেই খুনি বলে খোটা দিয়েছেন তিনি।’

পুতিনের মতো এরদোয়ানও ভালোভাবে নেননি বাইডেনের ওই মন্তব্য। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘একজন রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষেত্রে এমন মন্তব্য মানায় না।’ বাইডেনের মন্তব্যের ‘স্মার্ট” এবং ‘যথাযথ’ জবাব দেয়ার জন্য পুতিনের প্রশংসাও করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য। সে হিসেবে তারা একে অপরের মিত্র। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর অনেক রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বললেও এরদোয়ানের সঙ্গে এখনও কথা বলেনি বাইডেন।

আবার নতুন করে বাইডেনের সম্পর্কে এরদোয়ানের এমন মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্কের জন্য নতুন করে উত্তেজনাকর বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে মস্কো থেকে মিসাইল কেনার ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

তবে তুরস্ক বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে চায় বলে জানিয়েছে। যদিও সিরিয়ায় কুর্দিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটকে (ওয়াইপিজি) সমর্থন বন্ধ করতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আঙ্কারা।

এদিকে, সম্প্রতি মার্কিন এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই প্রতিবেদন সামনে আসার পর বেশ ক্ষেপে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেছেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এর জন্য মূল্য দিতে হবে।’ গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালকের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত ১৫ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তপেক্ষপের অভিযোগ তোলা হয়।

এরপরই সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পুতিনকে খুনি বলে মন্তব্য করে বসেন বাইডেন। পরে পুতিনও এর কড়া জবাব দেন। ভিডিও কনফারেন্সে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে, শৈশবে যখন আমরা মাঠে তর্ক করতাম, তখন বলতাম: যে বলেছে, সে-ই করেছে। এটা কোনও কাকতালীয় ঘটনা, শিশুতোষ মন্তব্য কিংবা রসিকতা নয়। এর মনোস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা অনেক গভীর।’

বাইডেনকে খোঁচা দিয়ে পুতিন বলেন, ‘আমরা সবসময় নিজের বৈশিষ্ট্যগুলোই অন্যদের মধ্যে দেখতে পাই এবং মনে করি, আমরা আসলে যেমন তারা তেমনই। এভাবেই আমরা (অন্যের) কার্যকলাপ মূল্যায়ন করি।’