‘ফিলিস্তিনি বালিকার হাতে কাঁচি দেখলেও হত্যা করতে হবে’

ইসরাইলের দৈনিক হারেৎজ জানিয়েছে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন একদল ফিলিস্তিনিকে বিনা বিচারে হত্যা করছে। দৈনিকটি লিখেছে, এটা ঠিক ইসরাইল ছুরি বা শীতল অস্ত্র দিয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামে লিপ্ত ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার বিশেষ আইন সম্পর্কে একবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে, কিন্তু এ বিষয়ে বিতর্ক চূড়ান্ত হওয়ার আগেই ফিলিস্তিনিদের বিনা-বিচারে ও এমনকি কোনো তদন্ত বা পর্যালোচনা ছাড়াই হত্যা করছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।

সামপ্রতিক সময়ে ইসরাইলের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাভিগডোর লিবারম্যান ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের দ্রুত মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার দাবি জানিয়ে বলেছেন, যাদের হাতেই ছুরি থাকবে তাদেরকে উপস্থিত ক্ষেত্রে বা ময়দানেই হত্যা করতে হবে।

তিনি বলেছেন, কোনো ইসরাইলিকে কেবল আহত করা বা হত্যার দায়ে ঘটনাটি ঘটার পরই কোনো ফিলিস্তিনিকে হত্যা করতে হবে ২০১৬ সালে এমনটি আর দরকার নেই, বরং কোনো ফিলিস্তিনি শিশু কন্যার হাতে যদি একটি কাঁচিও দেখা যায় তাহলেই তাকে হত্যা করতে হবে!

সমপ্রতি ফিলিস্তিনিদের তৃতীয় ইন্তিফাদা শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকজন দখলদার সেনা ও অবৈধ বসতির অধিবাসী ইসরাইলি ফিলিস্তিনিদের হামলায় নিহত হয়েছে। ইসরাইল মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসে ধ্বংসাত্মক ও অবমাননাকর নানা পদক্ষেপ নেয়ায় এবং পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত নানা অঞ্চলে অবৈধ বসতি-বিস্তার ও জমি জবর-দখল অব্যাহত রাখায় এই ইন্তিফাদা শুরু হয়েছে। ইসরাইলি সেনারা এ লক্ষ্যে ফিলিস্তিনিদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে দিচ্ছে এবং তাদের ক্ষেত-খামারও নষ্ট করছ।

হানাদার ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনিদের এই বৈধ সংগ্রামকে স্তব্ধ করার জন্য প্রায়ই বেসামরিক ফিলিস্তিনি পুরুষ, নারী ও এমনকি শিশুদেরও হত্যা করছে।