পলাতক আসামীর হাইকোর্টে রিট দায়ের

পলাতক আসামীর হাইকোর্টে রিট দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আলোচিত রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিটকারী আট ভুক্তভোগী দাবীকারীদের দুজনই পলাতক আসামী বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত পলাতক দুজন হচ্ছে মোঃ আলাউদ্দীন ও জিন্নাত আলী। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোন পলাতক ব্যক্তি কোন ধরনের আইনি সুবিধা পেতে পারে না। কারন হিসেবে তারা বলছেন, পলাতক ব্যক্তি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। এ জন্য কোন পলাতক আসামীর আইনী সুবিধা পাওয়া আইনগত ভাবে বৈধ নয়।

আদালতসূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর চট্রগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ আদালতে মোঃ আলাউদ্দীন ও জিন্নাত আলীসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মানবপাচারের মামলা করেন লোহাগাড়া উপজেলার উজানটিলার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম (৪১)। সেই মামলায় আলাউদ্দীন ও জিন্নাত আলী এখনও পলাতক রয়েছে মর্মে জানা গেছে। রিটকারী আট জনের মধ্যে ( রিট পিটিশন নং ৭৯০২/ ২০২১) দুইজন মোঃ আলাউদ্দীন ও জিন্নাত আলী পলাতক থাকা অবস্থায়ই রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে গত ১৬ সেপ্টম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পলাতক ব্যক্তি আইনী সুবিধা পাওয়া দূরের ব্যাপার এমনকি পলাতক আসামীদের বক্তব্য-বিবৃতি গনমাধ্যমে প্রচারের ওপরও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ” উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফিউজিটিভ বা পলাতক আসামী কোন আইনী সাহায্য বা প্রতিকার পাবে না ”।

তিনি আরো বলেন, যে মামলায় আসামী পলাতক সেই মামলায় সে কোন প্রতিকার পেতে পারে না আইনে।

আদালতে দায়ের করা নুরুল ইসলামের মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২০ জুন মোঃ আলাউদ্দীন ও জিন্নাত আলী সহ আসামিরা মালয়েশিয়ায় ভালো বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে নুরুল ইসলামকে লোহাগাড়া থেকে কক্সবাজারের দরিয়ানগর উপকূলে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে তাকে সাগরপথে মালেশিয়ায় পাচার করেন। ২০১৭ সালের জুন মাসে মালয়েশিয়ার পুলিশ অবৈধ অভিবাসী হিসেবে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। একবছর কারাভোগের পর বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনে। এরপর ২৯ অক্টোবর ছয় আসামির বিরুদ্ধে মানবপাচারের মামলা করেন নুরুল ইসলাম।