রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সম্মান সুরক্ষায় পৃথক ধারার দাবি

ঢাকা: ‘রাষ্ট্রধর্মের সম্মান সুরক্ষা দেওয়া রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সুতরাং প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সম্মান সুরক্ষায় পৃথক ধারা সংযুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্রধর্মের অবমাননা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রধর্মের অবমাননায় এ আইনে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখতে হবে।’

আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) প্রেস ক্লাবের সামনে ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তব্যে ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মুহাম্মদ আবু সায়েম রিমন বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ নামে একটি নতুন আইন পাশ করতে যাচ্ছে। আইনটি পাশ করার পূর্বে সরকার ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি’ নামে একটি ওয়েবসাইটে আইনটির খসড়া আপলোড করে নাগরিকদের মন্তব্য জানতে চেয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হচ্ছে ইসলাম। রাষ্ট্রধর্মের সম্মান সুরক্ষা দেওয়া রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে- রাষ্ট্রধর্মের সম্মান সুরক্ষায় দেশে পৃথক কোনো আইন নেই। প্রায়ই দেখা যায় কিছু দুষ্কৃতিকারী রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করে। এ ক্ষেত্রে পৃথক কোনো আইন না থাকায় সে অপরাধ কার্যকর উপায়ে রোধ করা যায় না। সরকার যেহেতু আমাদের কাছে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে মতামত জানতে চেয়েছে, তাই বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের মতামত হচ্ছে- প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সম্মান সুরক্ষায় পৃথক ধারা সংযুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্রধর্মের অবমাননা রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রধর্মের অবমাননায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখতে হবে।’

ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মুহম্মদ মাসউদুজ্জামান বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনের খসড়া পাঠে আমরা জানতে পেরেছি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বা ২৮ ধারার সাজা হ্রাস করা হবে, এটি খুব উদ্বেগজনক বিষয়। কারণ ২০১৩ সালের সাইবার ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার পূর্বে অনলাইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত রোধে কার্যকরী শক্ত কোনো আইন ছিল না। ফলে এ অপরাধ রোধ হচ্ছিল না। যার প্রতিক্রিয়ায় দেশে ভয়ংকর অস্থিতিশীলতা তৈরি হয় এবং শাপলা চত্বরে আন্দোলনের মতো ঘটনা ঘটে। ২০১৩ সালের পর শক্ত আইন কার্যকরের মাধ্যমে অনলাইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। কিন্তু এ সাজা যদি হ্রাস বা দুর্বল করা হয় তাহলে পুনরায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধ বৃদ্ধি পাবে। যার প্রতিক্রিয়ায় দেশে আবারও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হবে।’

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ আরিফুল খবীর, মুহম্মদ রওশন আলী প্রমুখ।