‘নাগরিকের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় আইন হচ্ছে’

‘নাগরিকের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় আইন হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাগরিকদের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় ‘ডেটা প্রাইভেসি অ্যান্ড লোকালাইজেশন’ আইন করা হচ্ছে বলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভার্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) পঞ্চদশ বার্ষিক সাধারণ সভায় ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ব্লকচেইন, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং ডেটা প্রাইভেসি’ বিষয়ক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন বলে আইসিটি বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পলক বলেন, ডেটার ক্যাটাগরি নির্ধারণের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক বিনিময়যোগ্যতা ও গোপনীয়তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ডেটার ক্যাটাগরি নির্ধারণ করে তৈরি হচ্ছে ডেটা প্রাইভেসি অ্যান্ড লোকালাইজেশন ল।”

বিস্তারিত ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, আমরা যদি ডেটার ক্যাটাগরি নির্ধারণ করে দেই তবে আমাদের ১০ কোটি যে ডিজিটাল আইডি রয়েছে, সেই আইডির কোন কোন তথ্য আমরা প্রাইভেট কোম্পানিকে দিতে পারব আর কোন তথ্য প্রাইভেসির কারণে কারও কাছে শেয়ার করতে পারব না- এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন থাকা দরকার। সে কারণেই ব্লকচেইন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিকস নিয়ে একটি স্ট্রাটেজি বা পলিসি ইতোমধ্যেই আমরা প্রণয়ন করেছি।

“প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের নির্দেশনায় একটি ডেটা প্রাইভেসি অ্যান্ড লোকালাইজেশন ল’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
আইনটি এখন খসড়া পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান, অল্প দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভার্নেন্স ফোরাম, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও গণমাধ্যমসহ বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে প্রস্তাবিত আইনটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে প্রায় ১১ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। প্রতি মিনিটেই আমরা বিপুল পরিমাণ তথ্য তৈরি করছি। আমাদের ৫৮টি ব্যাংক, ই-নথি, ৯ কোটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল ওয়ালেট রয়েছে।

“এগুলোতে থাকা গ্রাহকের অনেক তথ্যই বাইরের কোনো দেশে সংরক্ষণ করা হলে (হোস্ট করলে) সেটা অবশ্যই আমাদের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় একটি হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।”

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভার্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিত সংস্থার ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে আয়োজিত আরেকটি সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তথ্য গোপনীয়তার প্রসঙ্গে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডেটার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বিশেষত ব্যক্তিগত ডেটার নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ডেটা অনেক ক্ষেত্রে মানুষে সংঘাত ও সমস্যা সৃষ্টিসহ নানাবিধ খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।

“ফেইসবুকে কোনো কোনো সময় ডেটার অপপ্রয়োগের মাধ্যমে সন্ত্রাস, মানহানি, গুজব ছড়ানো, অপপ্রচার, রাজনৈতিক সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি করার অপচেষ্টা হয়ে থাকে। দেশে ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসারের পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে সরকার কাজ করছে।”