ডিআইজি গোপালের জামিন, বিচারিক আদালতের ব্যাখ্যা চায় হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘুষ নেয়া, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার আইনের মামলায় বরখাস্ত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিকের জামিন মঞ্জুর করে দেয়া ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর রায়ের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টের কাছে ব্যাখ্যা দিতে হবে বিচারিক আদালতকে।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

জামিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আপিল আবেদন শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারক মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে এদিন শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পার্থ গোপাল বণিককে বিচারিক (নিম্ন) আদালতের দেয়া জামিন বাতিল চেয়ে আপিল করা হয়েছে। গত ১৭ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের ভার্চুয়াল আদালত ১৫ জুলাই পর্যন্ত পার্থের জামিন মঞ্জুর করে। এরপর সে কারামুক্ত হয়।

খুরশীদ আলম খান জানান, গত বছরের ৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। এরপর ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

একই বছরের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন ডিআইজি প্রিজন্স পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। এতে মোট ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। রাজধানীর নর্থ রোডের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল দুদক।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, পার্থ গোপাল বণিকের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৮০ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেনি। অর্থাৎ সে সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮০ লাখ টাকা উপার্জন করে পাচারের উদ্দেশ্যে বাসায় লুকিয়ে রেখেছে বলে প্রমাণিত হয়।