জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে পরিত্যক্ত খনির সেই গ্যাস

৬ আগস্ট থেকে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে হবিগঞ্জের শাহজীবাজারের পরিত্যাক্ত ১ নম্বর কূপ থেকে উত্তোলিত প্রায় ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এতে করে দেশের চলমান গ্যাসের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শাহজীবাজারের কূপ পরিচালনায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড (বিজিসিএল) এর প্রকল্প পরিচালক মীর আশরাফ বলেন, চলতি মাসের ২৪ জুলাই বাপেক্সের একটি বিশেষ কারিগরি দল পুরোনো কূপটি থেকে গ্যাসের সন্ধান পায়। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করছি।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ মে এই কূপে ওয়ার্কওভারের কাজ শুরু করে একটি বিশেষ কারিগরি দল। ২ মাস ধরে ওয়ার্ক ওভার শেষে ২৪ জুলাই কূপের অনেক নিচের স্তরে নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এখনও এটি পরিক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে। আশা করছি ৬ আগস্টের মধ্যেই এখান থেকে উত্তোলিত গ্যাস জাতীয় গ্রীডের সাথে যুক্ত করা সম্ভব হবে।
এদিকে এই কূপের ওয়ার্কওভারের কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেড (বাপেক্স) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম রুহুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এটি অনেক পুরানো একটি কূপ। আমাদের বিশেষ কারিগরি কমিটির মাধ্যমে এই কূপটিতে নতুন করে খনন কাজ করা হয়েছে। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ২৫মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন এই প্রকল্পের পরিচালনাকারী প্রতিষ্টান বিজিসিএল এটিকে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করার অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করছে। পাইপলাইন তৈরিই আছে। এখন সব প্রস্তুতি শেষ করে এখানে গ্যাসের সংযোগ দিতে খুব বেশি দিন সময় লাগার কথা না বলে আমার মনে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জ-১ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস সরবারাহ শুরু হয়েছিল ১৯৬৩ সালে। কিন্তু ২০১২ সালে এ কূপ থেকে গ্যাসের পরিবর্তে পানি আসতে শুরু করে। তাই এটিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে নতুন গ্যাসের মজুদ অনুসন্ধান করতে হবিগঞ্জ ১ নম্বর কূপ ও সিলেটের কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত কূপে ওয়ার্কওভার কাজ শুরুর উদ্যোগ নেয় বিজিসিএল ও বাপেক্স। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।