এ বছর রেকর্ড পরিমাণ আমদানি তবে মূলধনী যন্ত্রাংশ কম

নিউজ ডেস্ক : রেকর্ড পরিমাণ আমদানি হয়েছে এই বছর। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, গত জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৩০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। গত বছর ছিল ২৮ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন। এই সময়ে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ।
তবে বিপুল অর্থের এই আমদানি হলেও শিল্পের যন্ত্রাংশ (ক্যাপিটাল মেশিনারি) এই সময়ে কমেছে। একইসঙ্গে বেসরকারি খাতে ঋণও কমেছে। নতুন মুদ্রানীতিতেও বেসরকারি খাতে ঋণ কমানো হয়েছে। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। আগের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো, ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। গত ১০ বছরে বেসরকারিখাতে ঋণ কখনই ১৬ শতাংশ হয়নি। এই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে অর্থনীতিবিদ আরএম দেবনাথ বলেন, আমদানিতে মূলধনী যন্ত্রপাতি কম আবার বেসরকারি খাতেও ঋণ নেই। তার মনে হলো বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ কম। বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য এখনি বেসরকারি খাতের ঋণ ১৮ থেকে ২০ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে। এটি না হলে কর্মসংস্থানেও সমস্যা হবে।
বাংলাদেশে ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ি, এ বছর মধ্যবর্তি পণ্য আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালে মধ্যবর্তি পণ্য আমদানি হয়েছিল ১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের। ২০১৯ সালে আমদানি হয়েছে ২ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন। এরবেশিরভাগই হলো, স্ক্র্যাপ ভেসেল, ক্লিংকারও বিপি সিট।
পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৫ শতাংশ। এবছর আমদানি হয়েছে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। যা গত বছর ছিলো ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
দেশে ১২৭টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে ৭০টি জ্বালানি তেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে ৫ শতাংশ। গত বছর আমদানি হয়েছিল ২দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারের এবছর আমদানি হয়েছে ২ দশমিক ৪১ ডলারের পণ্য।
ইন্ডাস্ট্রির কাঁচামাল আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ২০১৮ সালে কাঁচামাল আমদানি হয়েছিল ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ এ বছর আমদানি হয়েছে ৯ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।এর বাইরে খাদ্য ও কনজুমার পণ্য আমদানি কমেছে ।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. মাইনুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী সময়ে বিনিয়োগ কম ছিলো। রপ্তানিও কম। তাহলে আমদানি বেড়েছে কেন। এটি দেখার বিষয় আছে। আমদানির মাধ্যমে দেশ থেকে অনেক অর্থ পাচার হয়। এখান্ওে দেখতে হবে আমদানির মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়েছে কিনা।