ইরানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে হামিদ কারজাই ও আব্দুল্লাহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং প্রধান শান্তি আলোচক আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ কাবুলে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত বাহাদুর আমিনিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাতে ইরানের কূটনীতিক এবং আফগানিস্তানের শীর্ষ কর্মকর্তারা আফগান জনগণের ইচ্ছা এবং আকাঙ্খা অনুযায়ী সেখানে একটি কার্যকরী সরকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে আলোচনা করেন। আফগানিস্তান সরকারের পতন এবং তালেবান গোষ্ঠী দেশটির রাজধানী কাবুল নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর সেখানে ক্ষমতার শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।

অর্ন্তবর্তীকালীন সময়ে আফগানিস্তান শাসন করার লক্ষ্যে তালেবান গতকাল মঙ্গলবার ১২ সদস্যের যে পরিষদ গঠন করেছে সেখানে হামিদ কারজাই এবং আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর নামে রয়েছে।

রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা স্পুটনিককে উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, কাউন্সিলের সাত সদস্যের নাম ইতিমধ্যে ঠিক করে ফেলা হয়েছে। বাকিদের নামও শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। তালিবানের এক সূত্র জানিয়েছে, “প্রেসিডেন্ট ছাড়া আফগানিস্তানের শাসনভার থাকবে ১২ সদস্যের পরিষদের হাতে। এখনও পর্যন্ত সাতজন সদস্যের নাম ঠিক করা হয়েছে। তারা হলেন–হামিদ কারজাই, আবদুল্লা আবদুল্লা, মুজাহিদ কমান্ডার গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার, প্রাক্তন আফগান ইন্টেরিওর মিনিস্টার হানিফ আতমার, তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব, তালিবান নেতা আবদুল ঘানি বারাদর ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা খলিলুর রহমান হাক্কানি।

এদিকে গত সোমবার আফগানিস্তানের বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘটনাকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করবে বলে মন্তব্য করেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিক রায়িসি। এছাড়া পরস্পরের সহযোগিতা নিয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে একটি সরকার দেশটিতে গঠন হবে বলেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন রায়িসি।

সূত্র: পার্সটুডে