চড়া চালের দাম আরও চড়া হবে!

ঢাকা:  পবিত্র রমজান মাসের মধ্য থেকেই মোটা ও চিকন চালের দাম বাড়তে শুরু করে। ক্রেতারা আশা করেছিলেন, ঈদের পরে হয়তো সব ধরনের চালের দাম কমবে । কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। ঈদের পরে আবারও সব ধরনের চালের দাম বাড়তি।

নগরীর পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি মোটা চাল ৫ টাকা থেকে ৬ টাকা এবং চিকন চাল ২ টাকা থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। পোলাওয়ের চাল বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা। সামনে আরও বাড়তে পারে সব ধরনের চালের দাম।

ঈদের পরে এক টাকা দুই টাকা বাড়তে বাড়তে ২৬ টাকা মূল্যের মোটা গুঁটি স্বর্ণা ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৩০ টাকা দরের পারিজা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা দরে। চায়না ইরি চালেও ৬ টাকা বেড়ে ৩৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চার টাকা বেড়ে আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৭ টাকা দরে।

বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন না মধ্যবিত্তরাও। শান্তিনগর বাজারে চাল ক্রেতা বদরুল আরেফীন বলেন, ‘অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়লে চলা যায়। কিন্তু চালের দাম বাড়লে চলা দায়। প্রতিমাসে ৪৫ থেকে ৫০ কেজি চাল লাগে। এতে করে ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়তি গুণতে হয়। যা সংসারের ওপরে বাড়তি ঝামেলা’।

বেড়েছে সরু ও চিকন চালের দামও। প্রতি কেজি ‍চালের মূল্য দুই টাকা থেকে তিন টাকা বেড়েছে। গড়ে প্রতি কেজি সরু ও চিকন চাল কিনতে ৪৪ টাকা থেকে ৫৫ টাকা গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের। প্রতি কেজি মিনিকেট দুই টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৪৪ টাকা থেকে ৪৮ টাকা, উত্তম মানের নাজিরশাইল ৪৮ টাকা থেকে ৫৫ টাকা, সাধারণ মানের পা‌ইজাম ও লতা ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকা, উত্তম মানের পাইজাম ও লতা ৪২ টাকা থেকে ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের আড়তগুলোর মালিকরাও অভিযোগ করে বলেন, কৃষককে ন্যায্যমূল্য দিতে উচ্চদামে ধান-চাল ক্রয় করছে সরকার। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। বাজারের চেয়ে সরকারের কাছে চাল বিক্রি করতে আগ্রহ বেশি মিল মালিকদের। আর এর প্রভাবে বাজারে কমেছে চালের সরবরাহ। ফলে রাজধানীর বাজারে প্রতিদিন বাড়ছে চালের দাম। সামনে আরও বাড়বে সব ধরনের চালের দাম।