কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রাম: জেলায় প্রধান নদ-নদীর পানি সামান্য কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিতর্তিত রয়েছে।

কুড়িগ্রামের চিলমারী পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ৬ সেন্টিমিটার কমলেও এখনও বিপদ সীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ সময় পানি কমেছে দুধকুমারে ছয় ও ধরলায় ১০ সেন্টিমিটার। ব্রহ্মপুত্র অবাহিকার ৬টি উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক দ্বীপচর ও চরগ্রামের বেশীরভাগ এলাকা প্লাবিত রয়েছে। এসব এলাকায় অন্তত ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। অনেকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায়।

সদর উপজেলার রলাকাটা, ঝুনকারচর, চর পার্বতীপুর, ভগবতিপুর উলিপুরের গুঁজিমারী ও দাগারকুঠিসহ কয়েকটি চরে ব্যাপক ভাঙনের শিকার হয়ে ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন আরো শতাধিক পরিবার।

ঈদের আগে দুস্থ পরিবারগুলোর জন্য পরিবার প্রতি ২০ কেজি ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হলেও অনেকে তা পাননি। এছাড়াও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই দুর্ভোগে থাকলেও এখনও কোন ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান নুরুল আমিন জানান, এ বছর বড় ধরণের বন্যার আশঙ্কা থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে শুকনো খাবারের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া ১ লাখ টাকা ৫০ মে. টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।