ভারতে জিকা ভাইরাসের আক্রমণ

এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ানো জিকা ভাইরাস এবার আক্রমণ করেছে ভারতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভারতের আহমেদাবাদে এক গর্ভবতী সহ তিনজন জিকা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে ভারতে প্রথম জিকা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে, পরেরটি নভেম্বরে এবং সর্বশেষটি জানুয়ারিতে।
জিকা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঘটনাটি ধরা পড়ে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে। দ্বিতীয় ঘটনাটি গত নভেম্বরে। শেষ জিকা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এ বছর জানুয়ারিতে। গত ১৫ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী আক্রান্ত তিনজন আহমেদাবাদের বাপুনগরের বাসিন্দা।
 বিজে মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা করার সময়ই জিকা আক্রান্ত তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে দুজন নারী। একজনের বয়স ৩৪, অন্যজনের ২২। ২২ বছর বয়সী সেই নারী আবার গর্ভবতী। তৃতীয় জন ৬৪ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধ। আক্রান্ত তিনজন কী অবস্থায় রয়েছে, সে সম্পর্কিত খবর কারো কাছেই নেই।
২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়। ওই বছর নভেম্বরে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে ব্রাজিল সরকার। ২০১৬ সালে ব্রাজিল অলিম্পিকের সময় জরুরি অবস্থা সর্বোচ্চ অবস্থায় ছিল।  গত বছর নভেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা তুলে নেয়।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো জিকাও ছড়ায় এডিস ইজিপ্টি মশা থেকে। আক্রান্তদের মধ্যে হালকা জ্বর, গায়ে র‌্যাশ, পেশি ও গাঁটে ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা, কনজাংটিভাইটিস ও অস্থিরতার মতো লক্ষণ দেখা যায়।  গর্ভবতী নারী জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হলে গর্ভের শিশুর মাইক্রোসেফালি (ছোট মাথা) হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। হিন্দুস্তান টাইমস।