কাশ্মীরে শতাধিক কিশোরকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে সেনারা

গত ১১ দিন ধরে কারফিউ ও সব ধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কাশ্মীরে মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে শতাধিক কিশোরকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে ভারতীয় বর্বর নিরাপত্তা বাহিনী। ইন্ডিয়ান কালচারাল ফোরাম নামের একটি সংগঠন এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বুধবার ‘খাঁচাবদ্ধ কাশ্মীর’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট থেকে আঞ্চলিক পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী এই অঞ্চলের শতাধিক বাড়িঘরে অভিযান চালিয়ে নির্বিচারে ‘ছোট ছোট স্কুল ছাত্র ও কিশোরদের তাদের বিছানা থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। অভিযানের সময় নারী ও কিশোরীদের উত্যক্তও করেছে ওই সব কর্মকর্তারা।

গত ৯ থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে দোকানদার পর্যন্ত বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্ট করেছেন গবেষকরা। তবে ভারত সরকারের হাতে নির্বাচনের ভয়ে কেউই কথা বলতে চান নি।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অপহরণের ব্যাপারেও কিছু বলতে চাইছেন না। কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যরা মুখ খোলায় তাদের সন্তানদের নিখোঁজ বা মেরে ফেলা হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

এক বেসামরিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের কোনো রেকর্ড না থাকায় কেউ হত্যার শিকার হলেও পুলিশ দাবি করতে পারে তারা কখনো তাকে গ্রেপ্তার করে নি। পাম্পোর এলাকার ১১ বছরের এক স্কুলছাত্র জানিয়েছে, আটকের পর ৫ থেকে ১১ আগস্ট তাকে মারধর করা হয়েছে এবং কারাগারে তারচেয়ে কম বয়সের ছেলেও রয়েছে।
গত ৪ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে ক্ষমতাসীন উগ্র সন্ত্রাসবাদী দল বিজেপি। এই অনুচ্ছেদের বলেই জম্মু ও কাশ্মীর ৭০ বছর ধরে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা পেয়ে আসছিল। যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে ৪ আগস্টের আগে থেকেই কাশ্মীরে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করে রেখেছিল কেন্দ্র।