ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহের শঙ্কা
ডেস্ক: ভারতে মোদি সরকারের নির্বাচিত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে নিয়ে চরম বিতর্ক দেখা দিয়েছে দেশটিতে।
সোমবার ভারতীয় গণমাধ্যম এবেলার খবরে বলা হয়, দুই জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে রাওয়াতকে সেনাপ্রধান করায় বিতর্কের সূত্রপাত হয়। এ কারণে দেশটিতে যেকোনো সময় বিদ্রোহ হতে পারে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাওয়াতের ওপরেও যে দুই জন অফিসার ছিলেন তারা হলেন, পূর্ব কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রবীণ বক্সি এবং দক্ষিণ কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি এম হারিজ।
বয়সের বিচারে নিয়ম অনুযায়ী এই দুই জনের মধ্যে একজনের সেনাপ্রধান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের টপকিয়ে সরকার রাওয়াতকেই নির্বাচিত করায় শুধু রাজনৈতিক বিতর্কই নয়, সেনাবাহিনীর ভেতরেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
খবরে বলা হয়, পূর্ব কমান্ডের অফিসারদের মধ্যে এই নিয়ে অসন্তোষ এতই তীব্র হয়েছে যে, বিদায়ী সেনাপ্রধান দলবীর সিংহ সুহাগ তার কলকাতা সফরের সময় বেশিক্ষণ ফোর্ট উইলিয়ামে থাকতে চাননি।
যেকোনো বিদায়ী সেনাপ্রধানই দায়িত্ব ছাড়ার আগে দেশের নানা প্রান্তে সেনাঘাঁটিতে একবার করে ঘুরে আসেন। তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানানোর সুযোগ পান সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানরা।
সেই নিয়ম মেনেই, তার দুই দিনের কলকাতা সফরের সময়সূচি চূড়ান্ত হলেও তিনি সেই সফর কাটছাঁট করে মাত্র চার ঘণ্টা ফোর্ট উইলিয়ামে কাটিয়েই কলকাতা ছাড়েন।
এ সময় কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হলেও জেনারেল সুহাগ অসন্তোষের আঁচ পেয়েছিলেন বলেই জানা গেছে।
পূর্ব কমান্ডের প্রধান লে.জে. প্রবীণ বক্সি ইতোমধ্যেই দিল্লি গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকরের সঙ্গে দেখা করেছেন। সরকার নিয়ম ভাঙায়, তা সেনাবাহিনীর মনোবলেও আঘাত করেছে। কারণ এর ফলে সেনাবাহিনীতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা আরো বাড়ছে।
আর এই বিতর্কের মাঝে সবচেয়ে বড় বোমাটি ফাটাতে পারেন লে.জে. প্রবীণ বক্সি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে লে.জে. বক্সি পদত্যাগ করতে পারেন।
তিনি সত্যিই যদি পদত্যাগ করেন তা হবে মোদি সরকারের জন্য একটি বড় ধাক্কা। কেননা সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশটির সেনাবাহিনীতে এ রকম ঘটনার নজির নেই।