ভয়াবহ সংঘর্ষের পর একে অপরকে হুঁশিয়ারি ভারত-পাকিস্তানের

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বুধবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দুই দেশই একে অপরকে হুমকি-ধামকি দিয়েছে। একে অপরকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) এ নিয়েই প্রধান শিরোনাম করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার ভারত পাকিস্তানের মধ্যে গোলাগুলিতে পাকিস্তান পক্ষের ১৩ জন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে তিন সেনা সদস্যও রয়েছেন। আর অপর দশজনের মধ্যে ৯ জন নিহত হয়েছেন একটি যাত্রীবাহী বাসে ভারতীয় সেনাদের ছোড়া গুলিতে। এ ঘটনার পর পাকিস্তানের সেনা অভিযান বিষয়ক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাহির শামসাদ মির্জা ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং এর সঙ্গে হটলাইনে কথা বলেন। তাদের মধ্যে কী নিয়ে আরেঅচনা হয়েছে সে ব্যাপারে বলতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ডিজিএমনও ভারতের প্রতিনিধির কাছে বাসে হামলা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন।’ কেবল তাই নয়, পাকিস্তানে নিয়োজিত ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনার জে. পি সিং-কে তলব করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর।

অন্যদিকে ভারতীয সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের ডিজিএমও পাকিস্তানি ডিজিএমওকে সতর্ক করে বলেছেন, পাকিস্তান ভূখণ্ড থেকে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করা হলে কিংবা ানুপ্রবেশের চেষ্টা করা হলে এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার তিন ভারতীয় সেনার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বুধবার আবারও অশান্ত হয়ে উঠে ভারত-পাকিস্তানের কাশ্মির সীমান্ত। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (লাইন অব কন্ট্রোল) পরস্পরকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে দুই দেশের সেনাবাহিনী। প্রচণ্ড গোলাগুলিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে কাশ্মির সীমান্ত। ঘটনাস্থলে নিজেদের ৩ সেনা সদস্যের পাশাপাশি ৭ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। তবে ভারত তাদের পক্ষের সেনা নিহতের দাবি অস্বীকার করেছে। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন দাবি করেছে, দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ বেসামরিকসহ ২০ জন নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, নিহত ১০ বেসামরিকের মধ্যে ৯ জন নিহত হয়েছেন একটি যাত্রীবাহী বাসে ভারতীয় সেনাদের চালানো গুলিতে। তাদের দাবি অনুযায়ী অপরজনও ভারতীয় সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন, তবে অন্য এলাকায়।