ফিল্টার পানির নামে জারে ভরা হচ্ছে ওয়াসার পানি

ঢাকা: রেস্টুরেন্ট চায়ের দোকান সবখানেই বিক্রি হচ্ছে নীল জারে ভর্তি পানি। ফিল্টার করা পানি বলা হলেও আদো তা বিশুদ্ধ কিনা সেটা এখন মূল প্রশ্ন। দেখা গেছে ওয়াসার পানি জারে ভরে সরবারহ করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। ভোক্তাদের সচেতনতার পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক হোটেল, ফুটপাতে চায়ের দোকান সবখানেই দেখা যায় জারের পানি। ফিল্টার করা বিশুদ্ধ পানি বলেই বিক্রয় হচ্ছে এগুলো। তৃষ্ণা মেটাতে সবাই সেই পানি পানও করছেন। ৬০ থেকে ৭০ গ্লাস পানির একেকটি জারে দাম রাখা হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকা। অথচ আধা লিটার মিনারেল ওয়াটারের দামেই ১৫ টাকা। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন এগুলো ফিল্টার করা নয়।

একজন খুচরা বিক্রেতার সাথে এনিয়ে কথা বললে তিনি বলেন, এখানের একটা জারের দাম মাত্র ৩০ টাকা। আর একটা মাম পানির বতোল ১৫ টাকা। ওইটা সাড়ে ৭ টাকা করে এক গ্লাসের দাম পাড়ে। আর এটার দাম পাড়ে মাত্র ১ টাকা। এখন আপনার কাছে আমি যদি দুই টাকা চাই তাহলে আপনিও বলবেন পানি দুই টাকা কেন? অন্য জায়গায় ১ টাকা বিক্রয় করছে।

কখনো কখনো পানির জারে ওয়াসা সাফলাইয়ের পানি ভরে রাখেন বিক্রেতারা। স্বাস্থ্যকর নয় জেনেও সেই পানি পান করছেন মানুষ।

বাজারে এখন হরেক রকমের ফিল্টারের ছড়াছড়ি। সরবারহকারীরা বলছে এইসব ফিল্টারে পানি না ফুটিয়েই পান যোগ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাস্তাঘাটের কথিত ফিল্টার একটা অনিরাপদ তো বটেই বাজারের নামি ফিল্টারগুলোর মান নিয়েও সংসয় আছে। আইসিডিডিআরবি এর প্রধান চিকিৎসক ডা. আজহারুল ইসলাম খান বলেন, পানিকে পিলপাই করার যে বিভিন্ন ধরনের প্রকৃয়া এগুলো আসলে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কে এই কোয়ালেটিটা দেখছে। এগুলো কার দায়িত্ব। পানির অপর নাম জীবন। তাই পানির বিশুদ্ধকরণ, বাজারজাত সবকিছুকে সরকারি কঠোর নজরদারি উচিৎ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।