রফতানী এগারো মাসে ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

ঢাকা: চলতি অর্থবছরের প্রথম এগার মাসে (জুলাই-মে) রফতানী ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এতে রফতানী আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। মে মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানী কমেছে ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। রফতানী উন্নয়ন ব্যুরো(ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার ইপিবি প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম এগার মাসে(জুলাই-মে)বিভিন্ন পণ্য রফতানী করে আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬৬ কোটি ৪২ লাখ (৩০.০৬ বিলিয়ন) ডলার । এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ২২ কোটি ডলার। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের এগার মাসে রফতানী লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যা আগের অর্থবছরের (২০১৪-১৫) চেয়ে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। শুধুমাত্র মে মাসে রফতানী লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১১ কোটি ২০ লাখ ডলার। যার বিপরীতে আয় হয়েছে ৩০২ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক মাসে রফতানী লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমেছে। তবে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসের চেয়ে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।

২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে রফতানী হয়েছিল ২৮৪ কোটি ১১ লাখ ডলার। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে মোট রফতানী আয় বেশি এসেছে ওভেন থেকে। ওভেন থেকে রফতানী আয় হয়েছে ১ হাজার ৩১৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। আর নিটওয়্যার থেকে আয় এসেছে ১ হাজার ১৯২ কোটি ২ লাখ ডলার। তবে তৈরি পোশাক ছাড়া অন্য প্রায় সব খাতেই রফতানী আয় কমেছে।

আগের অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থ বছরের এগার মাসে (জুলাই-মে) হিমায়িত চিংড়ি রফতানী কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। এছাড়া চামড়া রফতানীর আয় কমেছে ৩২ দশমিক ০৬ শতাংশ, বাই-সাইকেল রফতানীতে কমেছে ২৩ শতাংশের বেশি, প্লাস্টিক কমেছে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, শাকসবজি ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ, তামাক ২১ শতাংশ এবং ফল রফতানী ৪৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমেছে। আলোচিত সময়ে ওষুধ রফতানী বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ, কাঠ ও কাঠের পণ্য রফতানী বেড়েছে ৭৮ শতাংশ।