ভারতে এখনো দ্রৌপদী প্রথা চালু

ডেস্ক: এক স্ত্রীর পাঁচ স্বামী! কথাটা শুনে অবাক লাগছে? লাগারই কথা। সভ্য সমাজে এটি অস্বাভাবিক হলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এটি স্বাভাবিক। হিন্দু ধর্মে এই প্রথাটিকে ‘দ্রৌপদী’ বলা হয়।

পার্শ্ববর্তী ভারতের উত্তর প্রদেশেও এমন পরিবারের সন্ধান মেলে। এমনি একটি পরিবারের আপন পাঁচ ভাইয়ের একমাত্র স্ত্রী রাজু ভার্মা। ২১ বছর বয়সী রাজু ভার্মা পাঁচ স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে বসবাস করছে।

ভাইদের মধ্যে গুড্ডু ভার্মাই প্রথম রাজু ভার্মাকে বিয়ে করেন। পরে একে একে অপর চার ভাই শান্তরাম ভার্মা, বাজ্জু ভার্মা, গোপাল ভার্মা ও দীনেশ ভার্মাও রাজু ভার্মাকে বিয়ে করেছেন। রাজু ভার্মার বছর পাঁচেকের এক ছেলে সন্তানও আছে।

 

হিন্দু ধর্মে দ্রৌপদী কি?

দ্রৌপদী (দেবনাগরী:द्रौपदी) হলো মহাভারত মহাকাব্যের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র । সে পঞ্চপাণ্ডবের সহধর্মিনী । বীরাঙ্গনাদ্রৌপদী পাঞ্চালরাজ দ্রুপদের অযোনিসম্ভবা কন্যা । দ্রুপদের কন্যা বলে তার নাম দ্রৌপদী । পূর্বজন্মে সে এক ঋষিরকন্যা ছিলো। অতি কঠোর তপস্যা করে সে শিবের প্রীতি সাধন করেছিল। তখন প্রসন্ন হয়ে শিব তাকে বর দিতে চাইলে সে করজোড়ে শিবের কাছে পতি লাভের বাসনা ব্যাক্ত করে। “হে মহাদেব, যদি প্রসন্ন হয়ে থাকেন, তবে যাতে আমি সর্বগুণ সম্পন্ন পতি লাভে চরিতার্থ হতে পারি, এরূপ বর প্রদান করুন।’ এই কথা পাঁচবার উচ্চারণ করে এবং প্রতিবারই শিব ‘তথাস্তু’ বলেছিল। তারপর শিব বলেছে, “হেকন্যা,তুমি পাঁচবারই পতি বাসনা করেছ, তাই পরজন্মে রাজকন্যা রূপে জন্ম নিয়ে দেবগুন সম্পন্ন পঞ্চপতি লাভ করবে।” তারপর পরজন্মে সেই ঋষিকন্যা মহর্ষিউপযাজ কৃত যজ্ঞ থেকে উত্থিতা হয়। দ্রুপদ রাজার কন্যারূপে সে দ্রৌপদী নামে আখ্যাতা হয়। তারপর তাঁর পঞ্চপতি হওয়ার ঘটনাটিও হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিগণ সমর্থন করেছে । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শেষে যুধিষ্ঠির যখন হস্তিনাপুরের রাজা হয় তখন সে পুনরায় ইন্দ্রপ্রস্থের রাণী হয় । দ্রৌপদী পঞ্চপাণ্ডবের প্রত্যেকের থেকে পাঁচ জন পুত্রলাভ করে । মহাভারতে দ্রৌপদীকে অনিন্দ্য সুন্দরী ও তাঁর সময়ের শ্রেষ্ঠ নারী হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে । দ্রৌপদী তাঁর শ্বশ্রূ কুন্তীর মত পঞ্চকন্যার অন্যতমা ।