শ্রমিক দিবস বাতিলের দাবিতে তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
নিউজ নাইন২৪, অনলাইন প্রতিবেদক: শ্রমিক দিবসকে ‘প্রহসন’ ও শ্রমিকদের সাথে ‘প্রতারণা’র দিবস হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করে দিবসটি বাতিলের দাবি উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। কোন একটি ফেসবুক পেইজ থেকে একটি আর্টিক্যাল দাবানলের ন্যায় এতোটা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে যে লেখাটির উৎস খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে । লেখাটি যারা কপি বা শেয়ার করছেন তাদের অনেকেই শ্রমিক দিবস বাতিলের দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করছেন। শ্রমিক দিবস বাতিলের দাবিতে ছড়িয়ে পড়া লেখাটি নিচে হুবহু উপস্থাপন করা হলো-
‘শ্রমিক দিবস’ দিবস নামে একটা দিবস থাকার অর্থই হচ্ছে সমাজে ‘শ্রমিক’ নামে একটি শ্রেণী আছে।
আর যেহেতু শ্রমিক নামে একটা শ্রেণী আছে, তারমানে ‘মালিক’ নামেও একটা শ্রেনী আছে।
আসলে এ সব কথিত ‘শ্রমিক দিবস’ তৈরী করেছে ইহুদী পূজিপতিরা, যারা চায় সমাজে দুটো অংশ থাকুক- ১.মালিক ও ২.শ্রমিক। অর্থাৎ সমাজে ‘মালিক-শ্রমিক’ নামক বিভেদ তৈরী করে শ্রমিকদের শোষণ করাই কথিত শ্রমিক দিবসের উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য কথিত ‘শ্রমিক দিবস’ এর সাথে জড়িয়ে আছে নাস্তিকতাবাদ বা কমিউনিজম। অপরদিকে ইসলাম ধর্ম কিন্তু সমাজে বিভেদ সৃষ্টি পছন্দ করে না। এ কারণে দেখা যায়, মুসলমানদের মসজিদে সকল মুসল্লী এক কাতারে দাড়ায়। শ্রমিকদের জন্য আলাদা কাতার কিংবা মালিকের জন্য আলাদা কাতার হয় না। আমি যতদূর জানি, মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থে সবাইকে শ্রমজীবি হিসেবে উল্লেখ করা করা হয়েছে, শ্রমিক ও মালিক নামে বিভেদ তৈরী করা হয়নি। অনেকে হয়ত বলতে পারে- শ্রমিকরা যে দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করবে তা তো শ্রমিক দিবস থেকে এসেছে। আমি বলবো-্ আপনারা মুসলমানদের শেষ নবীর জীবনী পড়ে দেখুন। সেখানে (শামায়িলে তিরমিযী, পৃ. ২২) ১৪০০ বছর আগেই দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রম দেওয়ার থিউরী দেওয়া আছে।
যে ব্যক্তি ১০ বছর আগে মাস্টার্স পাশ করেছে, তার তো নতুন করে ক্লাস-১ এ ভর্তি হওয়ার দরকার নেই। ঠিক তেমনি যে জাতি ধর্মজ্ঞান থেকে দেড় হাজার বছর আগে শ্রমিককের অধিকার নিয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান লাভ করেছে, তার তো মাত্র ১৩০ বছর আগের নাস্তিকদের থেকে অপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করার দরকার নাই।
তাই আমার দৃষ্টিতে কথিত ‘শ্রমিক দিবস’ বাতিল করা উচিত এবং এর সাথে দিবসটির ছুটিও বাতিল হওয়া উচিত।