ভোলায় আখের বাম্পার ফলন

আখের বাম্পার ফলন

ভোলা সংবাদদাতা: রোগ ও পোকার আক্রমণ ছাড়াই এ বছর ভোলায় আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার সাত উপজেলায় ৭৬০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩৫ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন। কিন্তু এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর জেলার সাত উপজেলায় আখের আবাদ হয়েছে ৮২৪ হেক্টর জমিতে।

এরমধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ১০০ হেক্টর, দৌলতখান উপজেলায় ২০ হেক্টর, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১৩০ হেক্টর, তজুমদ্দিন উপজেলায় ৩২ হেক্টর, লালমোহন উপজেলায় ৬৫ হেক্টর, চরফ্যাশন উপজেলায় ৪৭০ হেক্টর এবং মনপুরা উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়। এসব জমিতে সর্বমোট ৩৯ হাজার ৫৫২ মেট্রিক টন আখ আবাদ হয়েছে। এ বছর হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৪৮ মেট্রিক টন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে আখের সমারোহ। আখ কাটা, সংগ্রহ আর বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। তবে পাইকারি বাজারে আখের দাম কম হলেও খুচরা বাজারে আখের দাম অনেক বেশি।

ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের সাদেক রাঢ়ী বলেন, এ বছর ১০০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি। পুরো জমিতে আখের আবাদ অনেক ভালো হয়েছে। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে দ্বিগুন লাভ হবে। বিগত বছরের তুলনায় এবার লাভ অনেক বেশি।

আখ চাষি নুরুল ইসলাম বলেন, ১২ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করতে গিয়ে ১৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন বিগত বছরের চেয়ে অনেক ভালো। বাজারে ৩০ হাজার টাকার আখ বিক্রি হবে। বাজার দাম ভালো থাকায় দ্বিগুন লাভ হচ্ছে।

আখের আড়তদার ইয়ামিন মিয়া বলেন, এ বছর আখের ফলন ভালো থাকায় বাজারে সরবরাহ বেশি। কেনা-বেচাও ভালো হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেছে, ফলন ভালো হওয়ায় আখ আবাদে কৃষকদের আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। তাই চাষিরা অনেক খুশি।