২২ লাখ লোক সব লুট করে নিয়ে যাচ্ছে -ফখরুল

বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম ২৫ মে পর্যন্ত বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষের মধ্যে আয়ের বৈষম্য বেড়েছে। আগে ২২টি পরিবার শোষণ করতো, এখন হয়েছে ২২ লাখ লোক। এই ২২ লাখ লোক সব লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এখনও আসেনি। আমাদের আশঙ্কার কথা, আতঙ্কের কথা বিচার বিভাগ, যেখানে গেলে মানুষ আশা করে ন্যায়বিচার পাবে, সেখানে উপরের নির্দেশ লাগে। খালেদা জিয়ার রায়ের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হয়েছে যে, বিচার বিভাগ এখন আর স্বাধীন নয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, গত ১০ বছরে সংবিধান পরিবর্তন করে আইন করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে একদলীয় শাসনব্যবস্থার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে সরকার। গত ৪৮ বছরে আমাদের রাজনৈতিক মুক্তি মেলেনি। এখন মানুষ ভোট দিতে যায় না কারণ, ভোট কেন্দ্রে গেলে বলে ভোট হয়ে গেছে বা ভোট দরকার নাই। ফলে মাত্র ৫ শতাংশ লোক ভোটকেন্দ্রে যায়।

তিনি বলেন, অতীতে দেশের জনগণ পাক হানাদার বাহিনীকে যেভাবে উৎখাত করেছিল, স্বৈরাচারকে যেভাবে উৎখাত করেছিল, ঠিক তেমনিভাবে আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের মাধ্যমে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। এজন্য আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, মানুষের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা নিজেদেরকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে দাবি করে। আজ আসার সময় দেখলাম ফুটপাতে দুটি বাচ্চা নিয়ে এক নারী স্বামীর পাশে শুয়ে আছে। তার মাথার ওপর কিছুই নেই। এই হলো উন্নয়নের রোল মডেল। দারিদ্র্য সীমার নিচে লোকসংখ্যা বেড়ে গেছে, এ বিষয়ে তারা মিথ্যা তথ্য দেয়।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা বিশ্বাস করে নিজেদের স্বাধীনতায়, নিজেদের উন্নয়নে তারা বিশ্বাস করে। এসব কিছুর পেছনে রয়েছে দেশকে বিরাজনীতি করার ষড়যন্ত্র।