স্থাপত্যে সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের প্রতিফলন দেখাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: স্থাপনায় যেন বাংলার ঐতিহ্য-সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখা যায় এমন স্থাপনা নির্মাণ করতে স্থপতিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশে স্থপতি ইন্সটিটিউটের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলে প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থাপনাগুলো এমনভাবে করতে হবে যেন আজকে থেকে কয়েকশ’ বছর পরেও সেটা টিকে থাকে। … স্থাপত্যের মাধ্যমে আমরা যেমন প্রাচীন সভ্যতা, অতীতকে জানতে পারি, তেমনি স্থাপত্যের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতকেও জানতে পারি’।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘স্থাপনায় সবকিছুর একটা প্রতিফলন থাকবে, যাতে ভবিষ্যতের প্রজন্ম তারা যেন শিখতে পারে, জানতে পারে, উপলদ্ধি করতে পারে- কি সংস্কৃতি ছিলো, আমাদের জীবনযাত্রা কেমন ছিলো বা আমরা কিভাবে চিন্তা-ভাবনা করতাম’।
স্থাপত্যশিল্প একটা সভ্যতার মাপকাঠি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিদেশি পরামর্শকদের উপর নির্ভরশীল না হয়ে কনসালটেন্সি করার সময় দেশি কনসালটেন্টদের অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিদেশি লোক দিয়ে কনসালটেনন্সি করাতে হবে কেন? আমাদের দেশে কনসালটেন্সি করার মতো কি যোগ্য লোক নাই নাকি? যিনি আমার দেশকে চেনেন, এই মাটিকে চেনেন, এখানকার আবহাওয়া চেনেন, তারাই তো ভালো করবেন। আমাদের দেশের মানুষের কি মেধা জ্ঞান কম আছে? কনসালটেনন্সি করে টাকা নিয়ে যাবে, এটা যেন না হয়।

রাজধানীর পরিবেশ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকায় ও ঢাকাকে ঘিরে অনেক খাল, পুকুর, নদী ছিলো। মতিঝিলে ঝিল ছিলো, তা বন্ধ করেছিলো আইয়ুব খান। পান্থপথ এটা খাল ছিলো। এই খালের দুই পাশে যদি রাস্তা করে দিতো, গাছ থাকতো, তবে এখানকার পরিবেশ কতো চমৎকার হতো।

কৃষিজমি রক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ভৌগলিক সীমারেখার তুলনায় জনসংখ্যা বিশাল। আমাদের প্রতিটি পরিকল্পনা নিতে হবে এমনভাবে যেন কৃষি উপযোগী জমি বাঁচানো যায়।

পরিবেশ রক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি আরো বলেন, পরিকল্পনা বা ডিজাইন করার সময় আপনারা যদি পরিবেশের দিকে লক্ষ্য রাখেন, এই খাল, নদী ভরাট না করে কিভাবে নির্মাণ করা যায়, সেদিকে দৃষ্টি দিলে আমাদের দেশের পরিবেশটা রক্ষা পায়।

তৃণমূল পর্যন্ত মাস্টারপ্ল্যান করার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সেখানে যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকবে, হাসপাতাল, স্কুল থাকবে, সঙ্গে ফসলি জমি থাকবে, গ্রামীণ পরিবেশ থাকবে। তাতে দেখতেও সুন্দর লাগবে, পরিবেশও ভালো থাকবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, স্থপতি ইন্সটি্টিউটের সভাপতি আবু সাঈদ এম আহমদ ও মহাসচিব কাজী এম আরিফ প্রমুখ।