সংঘাতের দিকে যাচ্ছে রাজনীতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের শেষে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে হতে পারে তফসিল ঘোষণা। এমন অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দাবি—দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে আসছে। দেশের অন্যতম বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তার সহযোগীদের আন্দোলন সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক চেয়ে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের অধীনেই নির্বাচন করতে অনড়। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি থেকে হঠাৎ করেই মুখোমুখি অবস্থান নেয় দু’দল। ক্রমের বাদলাতে থাকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এরপর তা সংঘাতে রূপ নেয়।

সংঘাতের শুরু রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে। শনিবার (২৯ জুলাই) বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির দিনে একই কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। দুই পক্ষের এমন অবস্থান ও জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে রাতেই কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)। কিন্তু কর্মসূচি করার বিষয়ে বিএনপি অনড় থাকলেও আওয়ামী লীগ সরে আসে। তবে, সতর্ক পাহারায় থাকার ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন দলটি।

এ অবস্থায় সকাল থেকেই বিএনপির ঘোষণা করা অবস্থান কর্মসূচির এলাকায় জলকামান, সাঁজোয়া যান নিয়ে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় অন্তত পাঁচটি জায়গায় বিএনপির সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। মূলত পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে এ সংঘর্ষ বাধে। বিশেষ করে, রাজধানীর ধোলাইপাড় ও মাতুয়াইল এলাকায় দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সতর্ক পাহারার নামে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও লাঠিসেঁাটা নিয়ে কোনো কোনো জায়গায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এ সময় ভাঙচুর করা করা হয় বেশ কয়েকটি যানবাহন। আগুন দেওয়া হয় কয়েকটি গাড়িতে। বিএনপির সিনিয়র দুই নেতাসহ অনেকেই আহত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নেতাদের অভিযোগ, বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং আগের সহিংস অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। কোনোভাবেই তাদেরকে এমন সহিংস কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হবে না। অন্যদিকে বিএনপির দাবি, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে ওপর হামলা চালিয়েছে। বিএনপি কখনই সহিংস রাজনীতি চায় না। যত বাধা আসুক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠেই থাকব।