শর্তসাপেক্ষে ১০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বুয়েটে

শর্তসাপেক্ষে ১০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বুয়েটে

নিজস্ব প্রতিবেদক  : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) র‌্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কৃত ১০ শিক্ষার্থীকে শর্তসাপেক্ষে পরীক্ষা দিতে অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে, আদালত বলছেন, জারি করা রুল খারিজ হলে পরীক্ষা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) র‌্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কৃত ১০ শিক্ষার্থীকে শর্তসাপেক্ষে পরীক্ষা দিতে অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে, আদালত বলছেন, জারি করা রুল খারিজ হলে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে না।

সঙ্গে সঙ্গে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে বুয়েটে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থীর শাস্তির বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনে সাত শিক্ষার্থীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আরা হক ও মঞ্জুর নাহীদ। অপর তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা জুথী ও সাকিলা রওশন। এদের সাথে ছিলেন আইনজীবী শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজা বেগম।

শুনানিতে আদালত জানতে চান এরা বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি কিনা। বুয়েটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা আবরার হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। আদালত আদেশে বলেন, মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তির সময় র‌্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ হলে এই ১০ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে।

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারবেন- মির্জা মোহাম্মদ গালিব, জাহিদুল ইসলাম, মুনতাাসির আহমেদ, আসিফ মাহমুদ, ইমতিয়াজ হোসেন, আনাফালুর রহমান, অর্ণব চৌধুরী, নাহিদ আহমেদ, তানভীর হাসনাইন ও মহিবুল্লাহ। আদালতে তাদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা জুথি ও সাগুফতা তাবাসসুম প্রমুখ।

পৃথক পৃথক ১০ শিক্ষার্থীর আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশ কালীন বেঞ্চ বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার পর থেকে বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার পর শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে র্যাগিং বন্ধে এ পদক্ষেপ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক বলেন, এটির সঙ্গে আবরারের ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনাটি গত বছরের। তবে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হয় আবরারের ঘটনার পর।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে র্যাগিংয়ের প্রমাণ পাওয়ায় প্রথমে সতর্ক করে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করে। দ্বিতীয় ধাপে ৬ মাসের জন্য হল থেকে ও সাত টার্ম পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করে। তৃতীয় পর্যায়ে ১৮ ডিসেম্বর আজীবনের জন্য হল থেকে এবং সাত টার্ম পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করে।

তিনি আরও বলেন, একই ঘটনায় একই ব্যক্তিদের তিনবার শাস্তি দেয়ার অভিযোগ তুলে তারা একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করলে ২৩ ডিসেম্বর ৪৫০তম সভায় তা নিষ্পত্তি হয়।

পরে ওই সভার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করে শিক্ষার্থীরা। এদিকে পরীক্ষা দিলেও পরবর্তীতে রুল পক্ষে না গেলে তা কাজে লাগবে না বলে জানান নুর উস সাদিক।

সঙ্গে সঙ্গে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে বুয়েটে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থীর শাস্তির বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনে সাত শিক্ষার্থীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আরা হক ও মঞ্জুর নাহীদ। অপর তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা জুথী ও সাকিলা রওশন। এদের সাথে ছিলেন আইনজীবী শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজা বেগম।

শুনানিতে আদালত জানতে চান এরা বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি কিনা। বুয়েটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা আবরার হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। আদালত আদেশে বলেন, মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তির সময় র‌্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ হলে এই ১০ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে।

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারবেন- মির্জা মোহাম্মদ গালিব, জাহিদুল ইসলাম, মুনতাাসির আহমেদ, আসিফ মাহমুদ, ইমতিয়াজ হোসেন, আনাফালুর রহমান, অর্ণব চৌধুরী, নাহিদ আহমেদ, তানভীর হাসনাইন ও মহিবুল্লাহ। আদালতে তাদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা জুথি ও সাগুফতা তাবাসসুম প্রমুখ।

পৃথক পৃথক ১০ শিক্ষার্থীর আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশ কালীন বেঞ্চ বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার পর থেকে বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার পর শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে র্যাগিং বন্ধে এ পদক্ষেপ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক বলেন, এটির সঙ্গে আবরারের ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনাটি গত বছরের। তবে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হয় আবরারের ঘটনার পর।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে র্যাগিংয়ের প্রমাণ পাওয়ায় প্রথমে সতর্ক করে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করে। দ্বিতীয় ধাপে ৬ মাসের জন্য হল থেকে ও সাত টার্ম পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করে। তৃতীয় পর্যায়ে ১৮ ডিসেম্বর আজীবনের জন্য হল থেকে এবং সাত টার্ম পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করে।

তিনি আরও বলেন, একই ঘটনায় একই ব্যক্তিদের তিনবার শাস্তি দেয়ার অভিযোগ তুলে তারা একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করলে ২৩ ডিসেম্বর ৪৫০তম সভায় তা নিষ্পত্তি হয়।

পরে ওই সভার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করে শিক্ষার্থীরা। এদিকে পরীক্ষা দিলেও পরবর্তীতে রুল পক্ষে না গেলে তা কাজে লাগবে না বলে জানান নুর উস সাদিক।