রাজস্ব বেড়েছে, কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

মশা মারতেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা লাগে

নিউজ ডেস্ক:চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিগত অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। তবে বেড়েছে রাজস্ব আয় ও প্রবৃদ্ধি।

চলতি বছরের বাজেট বাস্তবায়নের ওপর প্রথম তিন মাসের প্রান্তিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। রবিবার(১০ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ‘বাজেট বাস্তবায়ন ২০১৮-১৯: প্রথম প্রান্তিক (জুলাই- সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন’ সংসদে উপস্থাপন করেন।

অর্থমন্ত্রী তার প্রতিবেদনে বলেন, সরকারের সর্বশেষ দুই মেয়াদে ধারাবাহিক উচ্চহারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেকর্ড ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বর্তমান অর্থ বছরেও উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখা হবে”।

মন্ত্রী জানান, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। এনবিআর এর রাজস্ব আয় ১২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া বার্ষিক উন্নযন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হার কমেছে, আমদানি ব্যয় ও রফতানি আয়ও বেড়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রা ও রিজার্ভ নিয়ে প্রতিবেদনে অর্থমন্ত্রী জানান, রফতানি ও প্রবাস আয়ে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি ঘটলেও একই সময়ে আমদানি বাড়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সামান্য কমেছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুন মাস শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাস শেষে ৩১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে; যা দিয়ে প্রায় ৬ দশমিক ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

অর্থমন্ত্রী জানান, বিগত অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারের ক্ষেত্রে অবচিতি হয়েছে ৩.৬৫ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ বছরে প্রথম প্রান্তিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়লেও খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি অনেকখানি কমেছে। উচ্চ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিপরীতে মূল্যস্ফীতি কমেছে এবং দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি স্থিতিশীল থেকেছে। বন্যার কারণে গেল অর্থ বছরের প্রথমার্ধে খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের স্থিতিশীল মূল্য, সাবলীল পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি এবং নিয়ন্ত্রিত মুদ্রা সরবরাহের প্রভাবে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমান অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থনীতির খাত ভিত্তিক অগ্রগতির যে চিত্র তুলে ধরা হলো তাতে আশাবাদী হওয়ার পূর্ণ সুযোগ রয়েছে। যেমন এই প্রান্তিকে রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি ও সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে এবং ব্যক্তিখাতের ঋণপ্রবাহের প্রসার ঘটেছে।