লাইফষ্টাইল ডেস্ক: শুরু হয়ে গেছে শীতের দাপট। শীতের এই সময়ে হুটহাট করে ঠান্ডা লেগে যায় অনেকেরই। জ্বরেও আক্রান্ত হয় ছোট থেকে বড় অনেকেই। ঋতুপরিবর্তনের সময় ভাইরাসজনিত কারণে ঠান্ডা লেগে জ্বর আসা থেকে বাঁচতে কিছু ঘরোয়া টোটকা খুবই কাজে দেয়। ভেষজ উপাদানই সবচেয়ে বেশি কাজ করে এর মধ্যে। গোলমরিচ, আদা, দারচিনি, যষ্টিমধু ইত্যাদি ভেষজ উপাদানে অনেক সময় ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ঠান্ডা লাগা, জ্বর ভাল হয়ে যায়। আলাদা করে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজনও পড়ে না।
আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বহু আগে থেকেই ব্যবহৃত হয় এই ভেষজ উপাদানগুলো। যার মধ্যে অন্যতম হল যষ্টিমধু। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় যষ্টিমধু ব্যবহারের ঐতিহ্য অনেক পুরনো। তবে শুধু যে শরীর ভাল রাখে এমন নয়, ত্বকের যত্ন নিতেও সহায়তা করে যষ্টিমধু।
যষ্টিমধু বহুবর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এটি আলসার, যকৃতের বিভিন্ন রোগ, মৃগী, হাঁপানি এবং যৌন রোগের নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।এছাড়া যষ্টিমধু চা খেলে ভাইরাসজনিত ঠান্ডা লাগা, জ্বরও ভাল হয়ে যায় ।
কী ভাবে খাবেন এই যষ্টিমধু ভাবছেন তো? চিন্তা নেই, সেই পথই বাতলে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যষ্টিমধুর ছাল থেকে শিকড় সবটাই খুবই উপকারী। আপনারা চাইলে যষ্টিমধুর চা বানিয়ে আরামসে পান করতে পারেন। শীতের দিনে শরীরকে গরমও রাখবে, আবার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে তুলবে।
যষ্টিমধুর শিকড় দিয়ে বানাতে পারেন পানীয়। এটা যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমনই উপকারী। প্রথমে এককাপ জলকে গরম করে নিতে হবে। তারপরেই যষ্টিমধুর শিকড়ের যে গুঁড়ো রয়েছে সেটা মিশিয়ে নিতে হবে। তবে এটা ব্যবহার করবেন কি না সেটা একবার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া দরকার। যাতে করে পরবর্তীতে কোনও রকম সাইড এফেক্ট না হয়।
ষষ্টিমধুর চা বানানোর জন্য প্রথমে উপাদান হিসেবে দরকার যষ্টিমধুর শিকড়, মধু আর জল। যষ্টিমধুর শিকড়কে ভাল করে থেতো করে নিতে হবে। তারপর চায়ের কেটলিতে থেতো করে রাখা যষ্টিমধু দিয়ে তার ওপরে গরম জল ঢেলে দিতে হবে। তারপর সেই মিশ্রণে ওপর থেকে মধু দিতে হবে। কিছু সময় রেখে, কেটলির ভেতর থেকে যষ্টিমধুর শিকড়ের ছিবড়েটা বের করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে, যষ্টিমধুর চা।
উপকারিতা
১. খাদ্যনালী ও পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে যষ্টিমধু চা। এলডিএল অক্সিডেশন রুখে হার্টের সমস্যা দূরে রাখে, টেস্টোস্টেরন সঠিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই চা।
২. এলার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।
আরও পড়ুন: চা-কফি নয়, ঘুম ভেঙে খালি পেটে কী খাবেন প্রথমে? কী পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা
৩. হজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল ইত্যাদি সমস্যার থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
৪. ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন যষ্টিমধু। এটা মুখের দাগ, ব্রণর দাগ, ফুসকুড়ি ইত্যাদির থেকে ত্বককে ভাল রাখে। ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে দেয়।
৫. যষ্টিমধু মেজাজকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, হতাশা হওয়া থেকে মনকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
Like this:
Like Loading...