বিএনপি’র আন্দোলন এবং বিদেশি চাপ: নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কৌশল কী?

নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালের নির্বাচনে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল বিএনপিকে নির্বাচনে এনে অংশগ্রহণমূলক ভোটের আয়োজন করতে চেয়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগে বিএনপি’র নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে সরকারের সঙ্গে সংলাপও করে বিএনপি। কিন্তু বিতর্কিত সেই নির্বাচনে সুবিধা করতে পারেনি দলটি।
কিন্তু ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।

অনেকেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের সামনে বেশ কিছু বাস্তব চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।
একদিকে বিএনপি’র জোরদার আন্দোলন, অন্যদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ।

এমন অবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের কৌশল কী হতে যাচ্ছে?

পাল্টা কর্মসূচিতে রাজপথ দখল:
বিএনপি রাজপথে সক্রিয় আছে প্রায় একবছর ধরে। দলটির সমাবেশ এবং পদযাত্রার মতো কর্মসূচিগুলোতে লোকজমায়েত প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যেও।

ফলে বিএনপি’র মতো আওয়ামীলীগও রাজপথে পালন করছে একের পর এক সমাবেশের কর্মসূচি।
বিদেশি চাপ সামলে নির্বাচন কিভাবে হবে?

আওয়ামী লীগ এখন গুরুত্ব দিচ্ছে, আগামী নির্বাচন যে সুষ্ঠু হবে, বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে সেটা বোঝানোর উপর।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম—সাধারণ বাহাউদ্দিন নাছিম বলছেন, “বিদেশিরা সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, আমরাও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এখানে আমাদের সঙ্গে তো বিদেশিদের কথার কোন পার্থক্য নেই। অর্থাৎ নির্বাচনটা এখানে হওয়া দরকার। এটাই মূল কথা। এবং সেই নির্বাচনটা হবে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করে।”
তবে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো কখন, কোন পদক্ষেপ নেয় সেটা নিয়েও আওয়ামী লীগের মধ্যে একধরণের অস্বস্তি আছে।

আবারো বিএনপি বিহীন নির্বাচন?
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয় সে বিষয়ে বিদেশিদের চাপ আছে এতে কোন সন্দেহ নেই।

তবে এটাও ঠিক সে নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে সে বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর নির্দিষ্ট কোন বক্তব্য নেই। আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে চায়।
এর বিপরীতে বিএনপি বলছে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন অংশ নেবে না। বিএনপি যদি আবারো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে তাহলে আবারো বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে অনেকেই মনে করেন।

বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরেও আলোচনা আছে। তারা মনে করছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে সেখানে বিএনপি’র না থাকা বড় কোন সংকটের কারণ হবে না কিংবা গ্রহণযোগ্যতার সংকট তৈরি করবে না।

আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন অংশ নেবে এটাই বড় কথা। বিএনপি বা অন্য কোন দল না এলে আওয়ামী লীগ কারো জন্য অপেক্ষা করবে না।