বাণিজ্যিক ছাদ বাগানে সফল আব্দুর রশিদ

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকায় আব্দুর রশিদ টিটো মিয়া বাণিজ্যিকভাবে ছাদ বাগান করে চমক সৃষ্টি করেছেন। বাগানজুড়ে সবুজের সমারোহ। তার বাগানে আছে দেশি-বিদেশি প্রায় সাড়ে তিন হাজার গাছ। তিনি প্রতিমাসে অনলাইনে গাছের চারা বিক্রি করে আয় করছেন ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তার বাগান দেখে অনেকে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
টিটো মিয়ার পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক মুকুল হোসেন বলেন, তার মতো গাছপ্রিয় মানুষ আর দেখিনি। গাছের প্রতি তার প্রচ- ভালোবাসা। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় প্রতিষ্ঠিত সব নাসার্রী তার হাতে গড়া।

গাছ সংগ্রহ প্রসঙ্গে আব্দুর রশিদ টিটো মিয়া বলেন, যাদের নার্সারি আছে তাদের কাছ থেকে আমাদের মতো যারা গাছ প্রেমিক তারা গাছ কিনে থাকি। আবার এই গাছ যত্নের মাধ্যমে বড় করে বিক্রি করে আবার নতুন গাছ সংগ্রহ করি। তিনি জানান, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে ই-ফোরবিয়া গাছ দিয়ে আমি ছাদ বাগান শুরু করি। প্রথমে শখের বশে গাছ সংগ্রহ করলেও এখন সেটা সময়ের পরিবর্তনে বাণিজ্যিক রূপ লাভ করেছে। আমার একটা ফেসবুক আইডি আছে যার মাধ্যমে আমি ছবি আপলোড দিই। দর্শকরা যে গাছ পছন্দ করে তার দাম নিধার্রণ হলে গাছ পেকিং করে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিই।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিন রাব্বি বলেন, জমি না থাকলেও বাণিজ্যিক ছাদ বাগান করে অনেক বেকার যুবক অনলাইনের মাধ্যমে বেচা-কেনা করে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে পারে। শুধু তরুণরাই নয় যে কোনো বয়সের মানুষই ছাদ বাগান করতে পারে। জমি না থাকলেও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ছাদ বাগান করে বাড়তি আয় করা সম্ভব।

ছাদ বাগান সৌন্দর্য বর্ধনের সাথে কর্মসংস্থান করাও যে সম্ভব তার জ্বলন্ত উদাহরণ টিটো মিয়া। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ প্রশিক্ষণ রফিকুজ্জামান বলেন, জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধির কারণে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। বাড়তি চাহিদা মেটানোর জন্য কৃষিকে আমরা ভারট্রিক্যালে বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি। যারই ফলশ্রুতিতে আমাদের অনেক মানুষ শখের বশে ছাদে বাগান করছে।